সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ব্রিজ চাই
পিরোজপুরের পাশেই হুলারহাট। এই হুলারহাটের পাশ থেকে বয়ে গেছে কচা নদী। কচার ওপরে ব্রিজ না থাকায় ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাঠি, খুলনা, পটুয়াখালী, বরগুনা, কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন স্থানের যানবাহনগুলোকে পিরোজপুরে আসতে এবং পিরোজপুর থেকে ওই সব স্থানে যেতে ফেরি পারাপারের মাধ্যমে চলাচল করতে হয়। মাঝেমধ্যে কচা নদীতে ফেরি বিকলও হয়ে পড়ে। তখন যানবাহনগুলো পারাপারে বাধা সৃষ্টি হয়। এ যেন এক চরম দুর্ভোগ। কচা নদীর ওপর ব্রিজ স্থাপিত হলে এ দুর্ভোগের অবসান ঘটবে বলে আমরা মনে করি। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে কচা নদীর ওপর অবিলম্বে ব্রিজ নির্মাণ করবে বলে আশা রাখি।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা

 

 

দ্রæতগতির ইন্টারনেট চাই
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়ার মনোরম পরিবেশ সর্বদা বিরাজমান থাকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থাকলেও নেই ভালো ইন্টারনেট সংযোগ। ওয়াইফাই ব্যবস্থা থাকলেও গতি কম থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যেন অনেকটাই পিছিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়ার পাশাপাশি উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ পেলে শিক্ষার্থীরা আরও নিজেদের উৎকর্ষ সাধন করতে পারবে।
মো. শাহরিয়ার আমিন
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

 

রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখুন
আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয়, বিশেষ করে খেজুর, পেঁয়াজ, বুট, বেসন, শসা, বেগুন, মুড়ি, মাছ, মাংস ইত্যাদি পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে কি? কারণ রমজান না আসতেই পেঁয়াজের দাম যেভাবে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে মনে হয়, রমজান এলে নিত্যপণ্যের মূল্য হয়তোবা আকাশ ছুঁয়ে যাবে। রমজান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম কয়েক ধাপ বৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা লাভ করেন। রমজান এলেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার জন্য ওতপেতে থাকেন। পবিত্র রমজানে সাময়িক সংকট সৃষ্টি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। হঠাৎ করে মূল্যবৃদ্ধির কারণে খেটে খাওয়া স্বল্প আয়ের গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের কষ্টের সীমা থাকে না। অনেক গরিব-দুঃখী দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারে না। অনেকে শুধু লবণ মেখে দু’মুঠো পানতা ভাত খেয়ে রোজা থাকেন। বিকেল হলে এসব রোজাদার গরিব-দুঃখী মানুষের মুখের দিকে তাকানো যায় না। মনে হয় তাদের কষ্টে দুই চোখ দিয়ে জল পড়ে না, তাজা রক্ত ঝরে। তাদের বুকের দিকে তাকালে হাড়গুলো সাক্ষী দেয়, তারা কত কষ্টে আছে। তাদের কষ্টে আকাশ থেকে কখনও কখনও রিমিঝিমি বৃষ্টি ঝরে। এসব গরিব-দুঃখী-অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে ব্যবসায়ী ভাইদের প্রতি অনুরোধ করছি, আপনারা ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে, গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্টের কথা ভেবে পবিত্র রমজান মাসে বেশি লাভের আশায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করবেন না। একজন গরিব-দুঃখী রোজাদারকে কষ্ট দেবেন না। বরং মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অন্যান্য মাসের তুলনায় আরও একটু কমিয়ে দিন। তাহলে হয়তো মহান আল্লাহতায়ালা আপনাদের প্রতি অনেক খুশি হবেন।
এইচ এস সরোয়ারদী,
পূর্ব শেওড়াপাড়া, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন