ঢাকার বাড্ডার আফতাবনগর ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় নিহত ব্যক্তি সম্পর্কে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কিছু জানায়নি। পুলিশ বলছে, চুয়াডাঙ্গায় নিহত ব্যক্তি ডাকাত ছিলেন।
গতকাল বুধবার রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এসব ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
স্টাফ রিপোর্টার : বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল আলম জানান, আজ ভোররাত চারটার দিকে আফতাবনগরে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাফায়েত তামরিন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় সাফায়েতকে উদ্ধার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আহসান হাবীবের ভাষ্য, অস্ত্র ও ডাকাতিসহ নয়টি মামলার আসামি ও এলাকার চিহ্নিত জামু-কামরুল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মিরাজুল ইসলামকে গতকাল বিকেলে দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর দেহ তল্লাশি করে রাইফেলের দুটি কার্তুজ পাওয়া যায়। তাঁকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অস্ত্রের কথা স্বীকার করেন।
এসআই আব্বাস উদ্দিন ও কয়েকজন পুলিশ মিরাজুলকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হন। মিরাজুলের গ্রাম হাতিভাঙ্গায় যাওয়ার সময় গোবিন্দহুদা ঈদগাহ মাঠের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ে। পুলিশ এ সময় আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। দুর্বৃত্তরা পাল্টা গুলি ছোড়ে। টানা ২৫ মিনিট ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলে। এতে পুলিশের সঙ্গে থাকা মিরাজুল দুর্বৃত্তের গুলিতে গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আউলিয়ার রহমান মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, রাইফেলের দুটি কার্তুজ, দুটি হাতবোমা ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন