আজ মঙ্গলবার থেকে মহাসড়কে ফেনীর ২৭ কিলোমিটার অংশে কোথাও কোনো যানজট চোখে পড়েনি।
হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় গত ১০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া যানজট মঙ্গলবার দুপুরের পর স্বাভাবিক হয়ে যায় বলে জানান জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মীর গোলাম ফারুক। মহাসড়কে ফেনীর ফতেহপুরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলার কারণে সৃষ্ট যানজট কুমিল্লার পদুয়া থেকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পর্যন্ত অন্তত ১২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। ওই সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম দূরত্ব অতিক্রম করতে যানবাহনগুলোর ১৭/১৮ ঘণ্টা এমনকি তার চেয়েও বেশি সময় লেগেছে।
এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হয় এবং রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন। ওইদিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৫ দিনের মধ্যে ফতেহপুরের ওভারপাস নির্মাণ শেষ করার ঘোষণা দেন এবং একইদিন রাতে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গির আলম সরকার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শনি, রোববার ও সোমবার মধ্যরাতে জেলা পুলিশ সুপারের তৎপরতায় সারারাত পুলিশের ১০টি টিম যানজট নিরসনে কাজ করেছে। ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণকাজ চলমান থাকার পাশাপাশি চলন্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ গাড়ি যানজটে বসে থাকার ফলে চালকরা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় যানজট তীব্র হয়েছিল।
“রাতে পুলিশ টানা হুইসেল ও ফায়ার এলার্ম হর্ন বাজিয়ে চালকদের ঘুম ভাঙ্গিয়ে যানজট নিরসনে ভূমিকা রেখেছে।” সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ সোমবার ওভারপাস নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে ফেনীর ফতেহপুরে চলমান রেলওয়ে ওভারপাসের একটি অংশ ১৫ মে বিকাল নাগাদ উন্মুক্ত করা হবে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টা নিরলস কাজ চলছে।
ফতেহপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল আমিন কনস্ট্রাকশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মীর্জা মহিউদ্দিন জানান, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিগ্রেডের ২০ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ৬০ কোটি ৫১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ফতেহপুরে ৮৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২২ মিটার প্রস্থের রেলওয়ে ওভারপাসটির কাজ চলমান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন