মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ধ্বংসের পথে যুবসমাজ

রামগড়ে চালুর অপেক্ষায় মদ তৈরির কারখানা

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা রামগড় থেকেঃ জেলার রামগড়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) নিয়ন্ত্রনাধীন পাইলট প্রকল্প হিলটেক্টস ডিস্ট্রিলারিজ লিমিটেড নামে মদ তৈরীর কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো চালুর প্রক্রিয়া চলছে।
বিসিক ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালে চালু হওয়া কারখানাটিতে স্থানীয় পাহাড়ীদের তৈরীকৃত দেশী মদ সংগ্রহ পূর্বক সেগুলোকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিশোধন করে বিভিন্ন কেমিকেলযোগ করার পর বোতলজাত করে বিপনন করা হতো দেশের নামীদামী অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেলে। কিন্তু বেশ কিছুদিন চলার পর নিয়ম না মেনে মদ উৎপাদন করায় এবং মদ বাহিরে পাচার হওয়ায় কারখানাটি সরকার সিলগালা করে দেয় ফলে মালিকপক্ষ এ পরিকল্পনা থেকে পিছু হটলে ২০০৮ সালথেকে বন্ধ হয়ে যায় কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রম।
অনুন্ধানে দেখা যায়, ২০০৩ সালে চালু হওয়া হিলটেক্স ডিস্ট্রিলারিজ লিঃ কারখানায় স্থানীয় পাহাড়ীদের নামে মাত্র বাংলা মদ তৈরি করতে আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। কারখানা কর্তৃক ১শত জনকে বৈধ্য কার্ড দিলেও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে আরো দ্বিগুন অবৈধ্য কার্ড দিয়ে বাংলা মদ তৈরি ও ব্যবসা করে লাভবান হয়েছে অনেকেই। ফলে রাষ্ট্র যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়ছেতেমনি অপরদিকে সহজে দেশী- বিদেশী মদ হাতের কাছে পাওয়ায় ধংসের পথে যুব সমাজ।
বর্তমানে বিসিকের নিয়ন্ত্রনে সরকারী পৃষ্টপোষকতায় আবারো সেটি চালু করার উদ্যোগনেয়া হয়েছে বলে জানান, আয়োডিন যুক্ত লবন প্রকল্পের পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল আলম।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রামগড় হিলটেক্স ডিস্ট্রিলারিজ লিঃ এর কারখানা পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানান তিনি।
এসময় তিনি আরো জানান, প্রকল্পটি চালু হলে স্থানীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে আমরা খুচরা বিপনন নিষেধ শর্তে দেশী মদ সংগ্রহ করবো তখন স্বাভাবিক ভাবে রামগড়ে দেশীয় মদের ভয়াবহতা হ্রাস পাবে।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কনসালটেন্ট, প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল হক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএমমোর্শেদ, রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওেশ মোঃ আব্দুল হান্নান প্রমুখ।
বন্ধ হওয়া কারখানাটি আবারো চালু হওয়ার খবরে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি চালু করা হলে এলাকায় মাদকের ব্যবহার আরো অনেকগুন বেড়ে যাবে। এমনিতেই রামগড় উপজেলা সীমান্তবর্তী হওয়ায় স্থানীয় দেশীয় মদ, ভারতীয় মদ, ফেনসিডিল ও ইয়াবা সহজলভ্য হওয়ায় মাদকসেবীদের কাছে সহজেই পৌছে যাচ্ছে এতে করে মাদকসেবীদের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন