বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার গোলাপবাগ থেকে ২ রাউন্ড গুলি ভর্তি বিদেশি পিস্তলসহ বরিশাল ছাত্রলীগের ক্যাডার নাহিদ সেরনিয়াবাত এবং জুবায়ের আলমকে আটক করেছে র্যাব-১০। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করা হয়।
নাহিদ বরিশাল সরকারী বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ বাকসু’র বিকল্প হিসেবে গঠিত ছাত্র কর্মপরিষদের অনির্বাচিত জিএস ছিল। মাস দুয়েক আগে কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এছাড়াও সে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার যুগ্ম আহবায়ক। আটক অপরজন গোপালগঞ্জের বলাকৈর গ্রামের মৃত ইফতেখারুল আলমের ছেলে জুবায়ের আলম একই কলেজের অধুনালুপ্ত ছাত্র কর্মপরিষদের অনির্বাচিত ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক ছিল। তাদের উভয়ের বিরুদ্ধেই টেন্ডারবাজী, জমি দখল, টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি দেখিয়ে মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডসহ অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিত চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত বলে র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানাগেছে, শুক্রবার ভোর রাতে র্যাবের একটি বিশেষ দল ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার গোলাপবাগ বিশ্বরোডে তল্লাশী চৌকি স্থাপন করে সন্দেহভাজন সিএনজি’র (ঢাকা মেট্রো থ-১২-৭৯৭৫) দুই আরোহীকে তল্লাশী করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ওইসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটক নাহিদ সেরনিয়াবাত ও জুবায়ের আলম উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে তারা অস্ত্রটি অবৈধভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের দখলে রাখার কথা স্বীকার করে। র্যাব জানায়, নাহিদ ও জুবায়ের বরিশালে টেন্ডারবাজীসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে আসছিলো। গত ২৪ মার্চ নাহিদ ও তার ক্যাডার বাহিনী পিস্তল দিয়ে পিটিয়ে বরিশাল এলজিইডি কার্যালয়ে মেহেন্দিগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. সেলিম খান ওরফে ভিপি সেলিমের মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিরোধীয় জমি দখল, টাকা আত্মসাৎ, ভয়-ভীতি দেখিয়ে নথুল্লাবাদ মাইক্রোবাস ষ্ট্যান্ডসহ অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গত বছরের শেষ দিকে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে গুলি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক সৃষ্টিরও অভিযোগ রয়েছে নাহিদের বিরুদ্ধে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন