আমাদের দেশে ডিপ্লোমা প্রকৌশল শিক্ষা বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ নারী হওয়া সত্তে¡ও ডিপ্লোমা প্রকৌশল কোর্সে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশের বেশি মেয়ে ভর্তি হয় না। এর মূল কারণ কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে অভিভাবকের অসচেতনতা। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের পছন্দের কোর্সও তেমন নেই। বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত টেকনোলজি চালু করা সময়ের দাবি। বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ বস্ত্র ও বস্ত্র-সংশ্লিষ্ট খাত ও উপখাত থেকে আসে। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই উপযুক্ত টেক্সটাইল অ্যাপারাল ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি, টেক্সটাইল নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি, টেক্সটাইল গার্মেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন টেকনোলজি, টেক্সটাইল টেস্টিং অ্যান্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেকনোলজি চালু করা যেতে পারে। আইটি খাতও উন্নতির দিকে যাচ্ছে। আইটি-সংশ্লিষ্ট খাত ও উপখাত থেকে উপযুক্ত কম্পিউটার ও সফটওয়্যার টেকনোলজি কোর্স চালু করা যেতে পারে। সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে মেয়েদের জন্য অন্তত দুটি টেকনোলজি কোর্স চালু করা জরুরি। আর ধাপে ধাপে তা বাড়ানো যেতে পারে। তাহলে কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে দেশ আরো এগিয়ে যাবে।
রিপন কুমার দাস
ডোনাভান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পটুয়াখালী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন