রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ঐশীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৮, ২:৩৫ পিএম | আপডেট : ৫:১২ পিএম, ২৮ মে, ২০১৮

পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের হত্যা মামলায় কন্যা ঐশী রহমানকে হাইকোর্টের দেওয়া যাবজ্জীবন দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। আপিলে ঐশীর মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হয়েছে।
 
সোমবার আপিল দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন।
 
এর আগে গত বছরের ৫ জুন ঐশী রহমানের মৃত্যুদণ্ড সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা প্রদাণের রায় ঘোষণা করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও নিজামুল হক নিজাম। অপরদিকে আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি। এরপর গত ৭ মে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি গত ৫ জুন রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
 
এর আগে পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় তাদের একমাত্র মেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের মামলাটি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে আসে। একইসঙ্গে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ঐশী। পরে ১২ মার্চ এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়।
 
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যান ঐশী। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।
 
২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক  অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
 
সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আইনে এবং ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অরেকটি চার্জশিট দাখিল করেন। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম কিশোর আদালতে পরিচালনা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে ডাবল মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অপর দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেওয়া হয়।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
খোন্দকার মোস্তাবুল হক ২৮ মে, ২০১৮, ৫:৪৯ পিএম says : 1
২০১৫ সালে ১২ ই ডিসেম্বরেরর প্রদত্ত রায় বাস্তবায়ন হলে সমাজে ঘাপটি মেরে থাকা হাজারো ঐশী সতর্ক বার্তা পাবে। আর নিজ বাবা মাকে খুন করে জোড়া খুনের দায় খুনীকে তো নিতেই হবে। ভাবা যায় কতবড় বেহায়া বেপরোয়া সে। নিজ বাবা মাকে খুন করতে তার বিন্দুমাত্র ভাবতে হয়নি। সমাজে যাতে আর কোন ঐশী উৎসাহিত না হয় বা নুতন কোন ঐশী আবার জন্ম না নেয় সেজন্য কোন অনুকম্পা নয়, সর্বোচ্চ সাজা তার প্রাপ্য।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন