শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : ৭ এপ্রিল ছিল চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন জেলায় শেরপুর সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন এবং ঝিনাইগাতি উপজেলার ৭ ইউনিয়নসহ মোট ১৩ ইউনিয়নের মনোনয়ন পত্র দাখিল করা হয়। কিন্তু ১৩ ইউনিয়নের মধ্যে দুটি ইউনিয়নে সরকারী দলের নানা ভয়-ভীতি ও চাপে প্রার্থী হতে পারেননি বিএনপির কোন প্রার্থীই। এ অবস্থায় সদর উপজেলার বিএনপির অধ্যুষিত পাকুড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী না থাকায় বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলছে চরম ক্ষোভ। তারা তাদের প্রার্থীর দাবীতে মিছিল পর্যন্ত করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. হযরত আলী জানান, আমাদের ওই ইউনিয়নের আহবায়ক-যুগ্ম আহ্বায়কসহ কয়েক জন প্রার্থী নির্বাচনের প্রার্থী হহওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আমরা তাদের সমঝোত করার চেষ্টা করি। কিন্তু পরর্তীতে যাকেই মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বলি। তিনিই অসম্মতি জানান। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান সরকারী দলের এক প্রভাব শালী নেতা প্রার্থী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ এখানে প্রার্থী হতে পরেনি। এ অবসতায় পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকদের এক সভা গত ৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আহবায়ক হালিম সরকার ও শওকত জামান রিপনের বিরুদ্ধে সরকারী দলের প্রার্থীর ভয়ে মনোনয়ন না নেয়া এবং তাদের দোষ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো: হযরত আলীর উপর চাপানোর অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে । নাস্তা প্রদান করে তাদেরকে এিনপির কমিটি থেকে অব্যহতি দেয়ার জন্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহমুদুল হক রুবলের বরাবরে আবেদন করেছেন। এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয় সরকারী দলের চাপে ও ভয়ভীতিতে রৌহা ইউনিয়নেও বিএনপির কেউ মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেননি।
সবশেষ ১০ এপ্রিল মনোনয়ন বাছাইয়ের দিন কামারিয়া ইউনিয়নের বিএনপির প্রার্থী সুলতান আহামেমদ স্বনের প্রস্তাবক ও সমর্থককে সরকারী দলের সমীর্থত প্রার্থীর লোকজন আটকে রাখায় বাছাই অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। ফলে তার মনোনয়নও বাতিল হওয়ার পথে। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব মো. হযরত আলী সরকারী দলের এ কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির প্রার্থীদের পুনরায মনোনয়ন দাখিলের সুযোগ এবং প্রস্তাবক সমর্থক আটকে রেখে প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তার প্রার্থিতা বহাল রাখার দাবী জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন