কক্সবাজারের টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহতের ঘটনার জেলা যুবলীগ নেতাদের সাথে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর আগে গত সোমবার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহামদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক সোহেলকে ঢাকায় আসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে খবর পাঠানো হয়। গতকাল দুপরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে শহিদুল হক সোহেল লিখেছেন, একরাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। দোয়া করবেন। আস্থা রাখুন জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। জয় বাংলা.....জয় বঙ্গবন্ধু।
শহিদুল হক সোহেল সাংবাদিকদের জানান, সরকারের তরফ থেকে একরাম নিহতের ঘটনাটি তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ডাকা হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহামদ বাহাদুর বলেন, একরামুল হক নিহতের ঘটনায় সারা দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। একরামের ইয়াবা ব্যবসার সংশ্লিষ্টতা না থাকা ও তার মারা যাওয়ার মুহূর্তের অডিও রেকর্ড ভাইরাল হওয়ায় কঠোর সমালোচনা চলছে। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। তিনি ঘটনা তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে অভিযানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই র্যাব কর্মকর্তাকে অবশেষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে গতকাল। এর আগে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে তাকে তলব করা হয়। মেজর পদমর্যাদার ওই কর্মকর্তা র্যাব ৭-এর কক্সবাজার ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত। র্যাব সদর দপ্তরে ওই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় নিজস্ব একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে র্যাব সদর দপ্তর। কমিটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করছে। কমিটির সদস্যরা ইতোমধ্যে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন। তদন্ত শেষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ২৬ মে টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক র্যাবের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। ৩১ মে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একরামের স্ত্রী আয়েশা বেগম দাবী করেন, তার স্বামীকে 'ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যার আগে ও পরের তিনটি অডিও রেকর্ড সাংবাদিকদের শোনান। পরে ওই অডিও ক্লিপ গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন