সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

আল-কুদস ও মুসলমানদের ভাবনা

ড. জহির উদ্দীন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এবার আল-কুদস দিবস আসছে এমন এক সময়ে যখন গাজায় ও সিরিয়ায় ইসরাইলী হামলা চলছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু লেবাননকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশটিতে অস্ত্র তৈরির কোনো কারখানা অবশিষ্ট রাখবেন না তিনি। যখন খুশি এবং জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইল দীর্ঘদিন ধরে এধরনের আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক আরো পাকাপোক্ত করে চলছে। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স তো বলেই দিয়েছেন, ফিলিস্তিনীদের হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি ফর্মুলা মেনে নেয়া উচিত না হয় নিশ্চুপ থাকা উচিত। ট্রাম্পের সেই শান্তি ফর্মুলায় ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কোনো স্বীকৃতি নেই। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। গাজায় তারই প্রতিবাদ শুরু করায় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে তরুণ থেকে শুরু করে বহু শিশু ও বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতে আল-কুদস মানে মুসলিম উম্মাহর প্রথম কেবলা মসজিদুল আকসা বা প্রিয় বায়তুল মোকাদ্দেসের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। যখন খুশি জেরুজালেমবাসীকে আল-আকসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে ইসরাইল। ১৯৬৭ সনের আরব ইসরাইল যুদ্ধে আল-কুদস সম্বলিত পবিত্র শহর জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে চলে যায়। এরপর পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় ইহুদিরা আগুন দিয়েছে, মুসলিমদের জুমআর নামাজ আদায়ে বাগড়া দিয়েছে বহুবার।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লা খোমেনী রমযানের শেষ জুমা বারে আল-কুদস দিবস পালনের ডাক দিয়েছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বমুসলিম এ দিবসটি পালন করে আসছে। আল কুদস দিবসের মর্মকথা হলো কুদসের মুক্তি, পবিত্র শহর জেরুজালেমের মুক্তি। কুদসকে মুক্ত করার আকুতি আর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মরক্কো থেকে তিউনিশিয়া পর্যন্ত কোটি কোটি মুসলিম দিবসটি পালন করে।
দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর হাতে পর্যুদস্ত হয়ে ২০০৬ সালে ইসরাইলীদের পিছু হটতে হয়। ফিলিস্তিনে ইনতিফাদাকে দমন করার বর্বর আগ্রাসী ইসরাইলী আচরণ তারপরও বেড়েছে। কিন্তু থেমে থাকেনি ফিলিস্তিনীদের প্রতিবাদ। এরপর ২০০৯ সালের শেষভাগে ইসরাইলীরা হামলা চালায় গাজা উপত্যকায়। সেখানেও ২২ দিনের যুদ্ধে নিজেদের লক্ষ্য অজনে ব্যর্থ হয়ে পিছু হটে ইসরাইল। ঐ যুদ্ধে হামাসের বিজয় বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। এখন আবার হামাসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইসরাইলী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে। আর এসব হামলা শুধু গাজা বা সিরিয়া নয় পুরো মধ্যপ্রাচ্যের অস্তিত্বের জন্যে হুমকি সৃষ্টি করলেও নিশ্চুপ বসে আছে আরব রাষ্ট্রগুলো। এরই মধ্যে গত ১৫ মে ফিলিস্তিনে ইসরাইলী দখলদারিত্বের ৭০ বছর পূর্ণ হয়েছে যা নাকবা বা ফিলিস্তিনীদের বিপর্যয় হিসেবে পরিচিত। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনীদের ৪০০ গ্রাম থেকে ৮ লাখ মানুষকে উচ্ছেদ করা হয় যারা তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটিতে ১২’শ বছর ধরে বসবাস করে আসছিল। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। এখন সারা দুনিয়ায় ফিলিস্তিনী শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখেরও বেশি।
অথচ দিনের পর দিন পশ্চিমা মিডিয়া ইসরাইলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। টেলিভিশন কিংবা পত্রিকায় ইসরাইলী বর্বরতার কোনো চিহ্ন নেই। বরং হামাসকে ভিলেন করে তোলার শত চেষ্টা চলছে পশ্চিমা মিডিয়ায়। ইসরায়েলি স্পাইপারদের গুলিতে ফিলিস্তিনীদের মৃত্যুর কোনো সচিত্র খবর নেই। তাহলে এসব পশ্চিমা মিডিয়া কি মূঢ় পাঠক ও অন্ধ দর্শকের ওপর নির্ভরশীল। ফিলিস্তিনীদের দুর্দশায় তাদের কিছুই যায় আসে না। তাহলে কোথায় থাকে বিশ্ব মানবতা! অথচ ইসরাইলীরা বিশ্বের অন্তত ২০টি শান্তির্পূর্ণ সংগঠনের সদস্য। জুইশ ভয়েস ফর পিস নিরব কেন? ইসরায়েলিরা নাকি অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ত মানুষ হিসেবে পরিচিত তাহলে নিরস্ত্র নিরীহ ফিলিস্তিনীদের এধরনের হত্যায় তারা মেতে উঠছে কেন? আর বিশ্বনেতারাও বা ফিলিস্তিনীদের ওপর বর্বর ইসরাইলী আগ্রাসনে বরাবরের মতো চুপ থাকছেন কেন?
সাধারণত সেনাবাহিনীর স্নাইপারদের যুদ্ধের ময়দানে অনেক দূরত্বে শত্রুদের মোকাবেলায় নিয়োজিত করা হয়। তাদের প্রশিক্ষিত করা হয় সেভাবেই। অথচ গাজায় মাত্র ৫০ থেকে ২০০ গজের দূরত্বে ইসরাইলী স্নাইপাররা নিরস্ত্র প্রতিবাদরত ফিলিস্তিনীদের ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক নয় এবং প্রশ্ন তোলার সময় এসেছে, কেন সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের হাত থেকে ইসরাইলী অস্ত্র উদ্ধার বা তারা তা জমা দিয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হচ্ছে? কারণ গাজা, সিরিয়া ও লেবাননে হামাস বা হিজবুল্লাই ফিলিস্তিনীদের একমাত্র প্রতিরোধ শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ৩০ মে থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এ হত্যাকান্ডের তদন্তের কথা বললেও তেলআবিব তা নাকচ করে দিয়েছে। কারণ তাতে ইসরাইলের গণহত্যার বিষয়টি প্রমাণ হয়ে যাবে। এজন্যে ইসরাইলীরা গুলি করে সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরও পর্যন্ত হত্যা করেছে। কারণ তারা তাদের বর্বরতার কোনো প্রমাণ রাখতে চায় না।
এ প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক যে, ফিলিস্তিনীরা ছাড়া কি আরবরা কোনো জাতি হিসেবে আদৌ তার অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে? আরব দেশগুলো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনে নিশ্চুপ বসে আছে, আর খালি হাতে প্রতিবাদ করে ফিলিস্তিনীরা একের পর এক নিহত হচ্ছে। জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পর এধরনের বর্বরতার শুরু হলেও আরব দেশগুলো নিশ্চুপ। আটলান্টিক সাগর থেকে উপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে আরব জনগোষ্ঠী কি তাহলে শেষ হয়ে গেছে? তারা কি ফিলিস্তিনীদের ওপর বর্বর নির্যাতনের ইতিহাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার এহেন চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনীদের এ নির্মম ইতিহাসের অংশ হয়ে আরবরা কীভাবে ঘুমিয়ে থাকতে পারে! আদতে তারা কিংবা তাদের দেশ কি তাহলে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের দাসত্ব বরণ করে নিয়েছে? আরবরা তাদের ভ‚মি, ইতিহাস ও ভাগ্য ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সমর্পণ করে দিয়েছে। যখনই ফিলিস্তিন শব্দটি উচ্চারণ হয় তখন বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের শিশু, বৃদ্ধ, নারী, তরুণ যারা তাদের মায়ের দুগ্ধপান করে বড় হয়েছে তারা তখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অর্থ খুঁজে পায়। গাজায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রতিবাদকারীদের হাতে কোনো অস্ত্র, বোমা, বারুদ কিছুই ছিল না। তাদের ছুড়ে মারা পাথর ইসরাইলীদের কোনো ক্ষতিই করতে পারেনি। তারপরও তাদের হত্যা করা হয়েছে। এর কারণ হচ্ছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সামান্য প্রতিবাদ যেন দুনিয়ায় আর অবশিষ্ট না থাকে। অথচ আরব দেশগুলোতে এ বর্বরতার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ পর্যন্ত হয়নি। ইসরাইলের সঙ্গে যে সব আরব রাষ্ট্রের সম্পর্ক আছে তা থাকতে পারে কি না বিবেচনা করা দেখার সময় পর্যন্ত নেই। কোনো আরব দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী, রাজা বা আমির কোনো বিবৃতি দিয়ে ইসরাইলী গণহত্যার নিন্দা জানাননি। ইউরোপ বা এশিয়ার কোনো কোনো দেশ অন্তত প্রতিবাদ জানিয়েছে অথচ মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া, কায়রোর রাস্তায় কোনো প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। এসব দেশের টেলিভিশন থেকে শুরু করে মিডিয়ায় গতানুগতিক খবরেই ঠাসা ছিল। ফিলিস্তিনীদের আর্তনাদ সেখানে স্থান পায়নি। ফিলিস্তিনীদের ওপর থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয়া কি আরব রাষ্ট্রগুলোর অজ্ঞতা? নাকি ক্লান্তি কিংবা হতাশা? নাকি পরিচয় অস্বীকার করে ফিলিস্তিনীদের ইতিহাস থেকে পৃষ্ঠদেশ প্রদর্শন করে প্রস্থান করছে আরব দেশগুলো?
আর শুধু আরব দেশগুলোকেই কেন ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়াতে হবে মুসলিম বিশ্বকেই। কিন্তু তারা কেন ফিলিস্তিনীদের পাশে একাট্টা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না? ফিলিস্তিনীদের জন্যে অর্থ সহায়তা বা মৌখিক দুঃখ প্রকাশ যদি সব হত তাহলে গত ৪০ বছরে পরিস্থিতি এত খারাপ হত না। জাতিসংঘের স্বীকৃত দুই রাষ্ট্র ভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পরিকল্পনা অস্বীকার করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমতাবস্থায় একজন মুসলমান যেমন অন্য একজন মুসলমানের অঙ্গ স্বরূপ, তেমনি বিশ্বের সব মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষা ও মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার আদায়ে একাট্টা হবার লড়াইয়ের প্রয়োজন আছে বৈকি।
আমরা যখন ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলি তখন মনে করা উচিত ওই ভ‚মি আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর পদচারণায়। মক্কা থেকে জেরুজালেমে গিয়ে বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসা থেকেই তো তিনি বোরাকে করে আল্লাহতালার দীদার লাভ করেছিলেন। এটাই ফিলিস্তিন এবং এরপর ফিলিস্তিন সারাবিশ্বের মুসলমানের কাছে কি তার কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে কি? সেই ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলের বর্বর হত্যাকান্ড চলবে আর আমরা দূরে নিরাপদে বসে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারব এমন ভাবা ঠিক নয়। আজ যদি ইসরাইল ভেবে থাকে সিরিয়ায় ইরানের সামরিক উপস্থিতি তার নিরাপত্তার জন্যে হুমকি তাহলে যে কোনো মুসলিম দেশে কালও সে ভাবতে পারে সেখানে যা কিছু হচ্ছে তা তার জন্যে হুমকি এবং এজন্যে সে হামলা ইচ্ছেমত করবে। আদতে এটা আধিপত্য সম্প্রসারণের এক পুরোনো কৌশল। এজন্যেই তারা মুসলমানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে শুরুতে জঙ্গি বানাতে চায়। ইসলাম ফোবিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে ইসরাইল লবি এত টাকা ঢালে।
ইতিহাস স্বাক্ষী ১৯৬৭ সালে ৬ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল যখন আরব ভ‚মি দখল করে নেয় তখন এর কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সৌদি আরব। আরব লীগের সম্মেলন ডেকে বড়জোর নিন্দা জানিয়েছিল মাত্র। ইসরাইলের সঙ্গে মিসর যখন ক্যাম্পডেভিড শান্তি চুক্তিতে যায় তখনও আরব দেশগুলো কেবল উষ্মা প্রকাশ করেছিল। এরপর জর্ডান যখন ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে তখন পিএলও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় এবং আরব দেশগুলো তৃপ্তির সঙ্গে বলতে থাকেন ইসরাইল ৭৮ শতাংশের বেশি ফিলিস্তিনী ভ‚মির স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু এখন জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না মার্কিনীরা।
আল-কুদস দিবসে এসব ভাবনাও আমাদেরকে ভেবে দেখতে হবে। কেন ইসরাইল প্রকাশ্যে বলে আসছে যে আরব দেশগুলোর সাথে তার সম্পর্ক দিনকে দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কেন ফিলিস্তিনী সমস্যা সমাধানে আরব দেশগুলো ইসরাইল বা পশ্চিমা দেশগুলোকে বাধ্য করতে পারে না। কেন আমিরাতে ইসরাইলী বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বিষয় আল-কুদস দিবসের অন্তর্নিহিত ভাবনা। এভাবনা থেকে দূরে থাকার কোনো অবকাশ নেই। কারণ জাতিসংঘের স্বীকৃতি বা আন্তর্জাতিক আইন বারবার লঙ্ঘন করেই ফিলিস্তিনীদের ওপর বর্বর হত্যাকান্ড ও জেরুজালেমকে মার্কিনিরা ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করেছে। ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে বন্দুকের মুখে সরিয়ে দিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে এ সন্ত্রাস ইসরাইল গত ৭০ বছর ধরে চালিয়ে আসছে। সেখানে আল-কুদস দিবসে মুসলমানদের প্রস্তুতি কোথায়? শুধুই দিবসটি পালন কিংবা আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখলে তা যেমন চলতে থাকবে এর পাশাপাশি মুসলমানদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে হতে নিঃশেষ হয়ে যাবে।
লেখক: আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন