মাদক বিরোধী দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চললেও উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার মাদকের ঘাঁটি নামে খ্যাত সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ,বেলকুচি,সিরাজগঞ্জ সদর,হাটিকুমরুল,এনায়েতপুর থানা জুড়ে থেমে নেই নীল ছোবলের এই ব্যবসা। থানা পুলিশের জোড়ালো ভূমিকা না থাকায় কিছুটা ঘাপটি মেরে কৌশলে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। সিরাজগঞ্জ সদরের মাহমুদপুর ও ভাংগা বাড়ি এলাকায় এই ভয়াবহ অভিযানও মাদক ব্যবসা থেমে নেই। কখনও এক শ্রেণীর স্বার্থ লোভী পুলিশ কর্মচারি কর্মকর্তার সহযোগিতায় কখনো বা মানুষের পায়ু পথে কিংবা পানি দিয়ে গিলে খেয়ে পরে পায়ু পথে বের করা হচ্ছে অথবা অপারেশন করে বের করা হচ্ছে। নতুন নতুন এসব কৌশল নিয়ে এগিয়ে চলেছে মাদক ব্যবসা। সীমান্ত এলাকা থেকে ৫-৬ জেলা পেড়িয়ে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুতে এসে বিভিন্ন প্রকার মাদক ধরা পরছে। সীমান্তে রয়েছে বি,জি,বি জেলায় জেলায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারপরও মাদক পারাপার হচ্ছে। ইদানীং মাদক বিরোধী অভিযানে চলছে পুলিশের বানিজ্য। মাদক বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশ বানিজ্য তালিকা করে রেখেছে। তালিকায় যাদের নাম আছে যাদের নাম নেই তাদেরও ভয় দেখিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে অর্থ নেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয় পুলিশের সোর্স কিংবা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বীরুদ্ধে যারা পুলিশের উর্ধতনের কাছে তথ্য দিতেন এমন অনেককে আটকের পর মাদক ব্যবসী হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আবার প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিরাজউদ্দিন আহম্মেদ সপ্রতি এক সঙ্গবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ দিনে ১৭৩ জন মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। এসব অভিযানে গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল সহ বিপুল পরিমাণ মাদক , পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।এর পরেও থেমে নেই কৌশলের মাদক ব্যবসা। এ অঞ্চলের প্রায় দশ সহস্রাধিক নেশায় আসক্তরা কিনে খাচ্ছে এসব ভয়ংকর মাদক। নেশার টাকার জন্য বাড়ছে স্কুলে-স্কুলে চুরিসহ নানা সন্ত্রাসী ঘটনা। মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য ও এসব নেশাখোরদের জ্বালায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী চেয়েছেন প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভূমিকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন