ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে আসা মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হবে। এছাড়া মুসল্লিদের কেউ এবার জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া (বৃষ্টি থাকলে) অন্য কিছু সঙ্গে আনতে পারবেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহের পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে। চারদিকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হবে। জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর মুসল্লিদের আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে আসতে হবে। মূল গেট দিয়ে প্রবেশের সময় তাদেরকে আবারও তল্লাশি করা হবে।
কমিশনার বলেন, কেউ কোনও ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাঁচি, মোবাইল, দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে বহন করা যাবে না।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঈদগাহে পুলিশের যেসব সদস্য আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন তারা একই জামাতে নামাজ আদায় করবেন না। আপনাদের জন্য বেলা ১১টায় আলাদা ঈদ জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ঈদগাহে প্রবেশের গেটগুলোতে তল্লাশির সময় পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা করতে মুসল্লিদের অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঈদ নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নগরীজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন-সমন্বিতভাবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাতকে ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় অফিস, শপিংমলগুলোতে বাড়তি নজরদারি থাকবে। প্রত্যেক এলাকার চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হবে এবং এলাকাভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ডদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন,ঈদে নিরাপত্তায় সুস্পষ্ট কোনও হুমকি নেই। তারপরেও ২০১৬ সালে শোলাকিয়া ময়দানে হামলা চেষ্টা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন