চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মোঃ অনিক (২৬) যুবলীগ কর্মী। তিনি নগরীর পল্টন রোডের নাসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। রোববার রাত সোয়া ১০টায় বাড়ির কাছে চট্টেশ্বরী মোড়ে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয় বলে চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম জানিয়েছেন। এই হত্যাকাÐের জন্য পাশের ব্যাটারি গলির মহিউদ্দিন তুষার ও ঈমনসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে অনিকের পরিবার। স্থানীয়রা বলছেন, যুবলীগের বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। চকবাজার থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, গাড়ির হর্ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া থেকে মারামারির একপর্যায়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত অনিক যুবলীগ কর্মী, আর যাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তারাও যুবলীগের। খুনের পেছনে দলীয় বিরোধ রয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ওইদিন বিকেলে অনিকের ছোট ভাই রনিক মোটর সাইকেল নিয়ে ব্যাটারি গলিতে ঢোকার সময় জোরে হর্ন দেন। এ নিয়ে স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে বাকবিতÐা ও মারামারি হয়। পরে পুলিশ গেলে উভয়পক্ষ সরে যায়। এর জের ধরে ওই এলাকার তুষার, ঈমনসহ ১০-১২ জন জোটবদ্ধ হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টেশ্বরী মোড়ে আসেন। তারা আসার পর অনিকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় অনিকের বাবা নাসিরও সেখানে ছিলেন। এক পর্যায়ে অনিককে ছুরিকাঘাত করে তারা।
নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন বলেন, তুষার, ঈমনরা মারামারির মধ্যে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে লোকজন সরে গেলে তারা অনিককে ছুরি মারে। তিনি বলেন, তুষার নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করেন। তবে সংগঠনে তার কোনো পদ নেই। এ ঘটনায় যারা জড়িত তারাও যুবলীগের কর্মী। গতকাল নিহতের পিতা নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তারা হলোÑ মহিউদ্দীন তুষার (৩০), মিন্টু (৩২), ইমরান শাওন (২৬), ইমন (১৬), শোভন (২৪), রকি (২২), অপরাজিত (২২), অভি (২১), বাচা (২২), এখলাস (২২), দুর্জয় (২১) এবং অজয় (২১)। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন