যশোর ব্যুরো : যশোরে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলা ও ছুরিকাঘাতে যুবলীগ নেতা আরাফাত মুন্নাফ লিটন (৪০) হয়েছেন। শুক্রবার রাতে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে আওয়ামী যুবলীগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বোমা হামলায় আহত হন যুবলীগ কর্মী ফজলুল করিম মিলন। তাকে যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত এজাহারভুক্ত ২জনকে আটক করেছে। নিহত লিটন জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার গ্রæপের নেতা। মামলায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ গ্রæপের বলে এলাকায় পরিচিত।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের মহিলা অধিদপ্তরের সামনে (৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগ কার্যালয়ে) বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার সময় সন্ত্রাসীরা আকস্মিকভাবে উপর্য্যুপরি বোমা হামলা চালায় ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাত ও বোমা হামলায় আহত হন আরাফাত মুন্ন্াফ লিটন, শহর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আব্দুল মুন্নাফ মনুর পুত্র এবং যুবলীগ কর্মী ফজলুল করিম মিলন, একই এলাকার জামাল হোসেনের পুত্র গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে ভর্তির পর জরুরিভাবে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পথিমধ্যে ভোররাতে লিটন মারা যান।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত আবুল বাশার মিয়া জানান, বোমা হামলার ঘটনায় কারা জড়িত তা পুলিশ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছে। তবে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেয়া হয়েছে। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১০ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার সকালে আবুল কাশেম ও সোহরাব হোসেন ওরফে বেড়েকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বাড়ি শহরতলীর চাঁচড়া মধ্যপাড়া এলাকায়। এরা দুজন আপন ভাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন