ডাক্তাদের নিয়োগকৃত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা সেবা দিতে হবে এমন কোনো নীতিমালা নেই। ফরিদপুর জেলা ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। তার মধ্যে ৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদরে একটি জেনারেল হাসপাতার ও একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিদ্যমান রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ বেশীরভাগ চিকিৎসক নেই। প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ১১ জন করে ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ৩/৪ জন করে ডাক্তার রয়েছেন। তার মধ্যে নিয়মিত কর্মস্থলে থাকে না অনেকেই। বেশীর ভাগ ডাক্তাররা প্রেষণে অন্যত্র বদলী হয়ে গেছেন। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না জনসাধারণ। চিকিৎসার অভাবে অনেকে পঙ্গুত্ব ও মারা যাচ্ছেন। প্রতিটি হাসপাতালে গড়ে ১০০/১৫০ রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। তার মধ্যে কিছু রোগী চিকিৎসা সেবা পায়। বাকী রোগীরা ডাক্তার না থাকার কারণে চিকিৎসা সেবা না নিয়েই বাড়িতে ফেরত যান। এভাবেই নৈরাজ্য, অবহেলায় চলছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ শাহজাহান কবীর চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যে সকল ডাক্তাররা মফস্বলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ বদলী হয়ে আসে ওই সকল ডাক্তাররা স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা ডিভিশনাল অফিস ও মহা পরিচালকের দপ্তর হতে যেকোনো ভাবে প্রেষণে অর্ডার নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এ কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ডাক্তারের স্বল্পতা রয়েছে। আমার কিছুই করার নেই। আমি শুধু জেলার মধ্যেই আমার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঢাকা ডিভিশনের পরিচালক প্রশাসন ডাক্তার নিতিশ কান্তি দেবনাথ জানান, ডাক্তাদের নিয়োগকৃত মফস্বলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই চিকিৎসা সেবা দিতে হবে এমন কোনো নীতিমালা নেই। তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু ডাক্তারা উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বিদেশে চলে যান, একারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ ডাক্তারদের স্বল্পতা রয়েছে। তবে আগামী জুলাই মাসের পর থেকে এই সমস্যা কেটে যাবে। আমাদের মন্ত্রনালয় সাড়ে চার হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবেন আগামী মাসেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন