কি কি কারণে কানের পর্দা ছিঁড়ে যায়?
কোন কিছু দিয়ে কান খোঁচালে।
কানে কোন কিছু ঢুকলে, তা অদক্ষ হাতে বের করার চেষ্টা করলে।
হঠাৎ বাতাসের চাপ-জনিত কারণে যেমনঃ কানে থাপ্পর দিলে, কোন বিস্ফোরণ ঘটলে, বক্রিং।
হঠাৎ পানির চাপ যেমনঃ পানির নিচে সাঁতার কাটলে, ওয়াটার-পোলো, ডাইভিং।
মাথায় আঘাত বা দূর্ঘটনাজনিত কারণে।
উপসর্গ সমূহ ঃ
কানে ব্যথা। প্রথমে তীব্র এবং পরে অল্প ব্যথা।
কানে কম শুনতে পাওয়া। অল্প ফেটে গেলে কম শুনবে, বেশী ছিঁড়ে গেলে বধিরতা বেশী হবে।
কানে ভোঁ ভোঁ শব্দ হতে পারে। মাথা ঘোরাতে পারে,যদিও তা স্বল্পকালীণ।
কান পরীক্ষা করলে দেখা যাবে, কানের পর্দায় ছিদ্র আছে এবং ছিদ্রের চারপাশে এলোমেলো এবং লাল হয়ে আছে।
বর্হিকর্ণে রক্ত জমাট থাকতে পারে।
চিকিৎসা ঃ
কানে কোন ইনফেকশন না হওয়ার জন্য এন্ট্রিবায়োটিক খেতে হবে।
ব্যথা থাকলে প্যারাসিটামল খেতে হবে।
কানে কোন পানি দেয়া যাবে না।
কান খোঁচানো যাবে না।
কানে কোন ড্রপ দেয়া যাবে না।
সাঁতার কাঁটা যাবে না।
দুই সপ্তাহ পর রক্ত জমা থাকলে তা বের করতে হবে, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ দিয়ে।
রোগীকে আশ্বস্থ করতে হবে।
সাধারণত উপরোক্ত চিকিৎসায় রোগী ভাল হয়ে যায়।
যদি রোগী দেরীতে চিকিৎসার জন্য কান থেকে পুঁজ পড়া বা ইনফেকশন নিয়ে আসে তখন তা কানের বহিকর্ণ ও মধ্যকর্ণের প্রদাহ হিসাবে চিকিৎসা করতে হবে।
যদি কানের পর্দায় ছিদ্র থেকে যায় তা হলে তিন মাস পর কানের মাইক্রোসার্জারির মাধ্যমে কানের পর্দা জোড়া লাগাতে হবে যা এখন বাংলাদেশে নিয়মিত করা হয়।
সাধারণত কানের পর্দা দিয়ে গেলে যে কোন ফার্মেসী থেকে কানের ড্রপ নিয়ে অনেকেই তা ব্যবহার করে যা একবারেই উচিত না। এক্ষেত্রে কানে কিছুই ব্যবহার করা যাবে না এবং নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে বা নাক-কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ষ অধ্যাপক ডাঃ এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
রোড ৮, ধানমন্ডি, ঢাকা, ০১৯১৯ ২২২ ১৮২
alamgir.chowdhury07@gmail.
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন