রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শিক্ষার্থী নিপীড়ন দেখে মাথা নিচু হয়ে আসে- ডা. জাফরুল্লাহ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১২:২০ এএম


সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের অব্যাহত নিপীড়ন-অত্যাচারের কঠোর সমালোচনা করে গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার চলছে তা দেখে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার মাথা নত হয়ে যায়। আমি ভাবতে পারি না, এজন্যই কি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম? এজন্যই কি জাতি দেশকে শত্রæমুক্ত করতে রক্ত ঝরিয়েছিল?
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি দল বাগসদের উদ্যোগে গণপরিবহন খাতে বিরাজমান চরম নৈরাজ্য এবং দেশজুড়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যাপক ভোট লুটের প্রতিবাদে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
কোটা ইস্যুতে সরকারের উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুলাহ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা নিয়ে চাকরি হবে কেন? যারা যুদ্ধে আহত হয়েছেন তাদের সাহায্য করুন। আর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোটা চালু করুন। তাহলে তারা ভালো শিক্ষা পেলে নিজেরাই ভালো অবস্থানে যেতে পারবে। চাকরির জন্য তখন আর তাদের কোটার ওপর নির্ভর করতে হবে না।
গাজীপুর ও খুলনায সিটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ বলেন, নির্বাচন পদ্ধতিতে ‘সূ² দুর্নীতি’ ছিল। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্তে¡ও তারা পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতা ও নির্বাচনী এজেন্টদের গ্রেফতার করিয়েছে। তাদের এসব দুর্নীতির উত্তর একদিন না একদিন জনগণের সামনে দিতেই হবে।
বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, স্বাধীনতার পরে ১৬শ’ বছর পর্যন্ত কি কোটা থাকবে? তারা একটি ন্যায্য আন্দোলন করছে। আর সরকার তাদের মেরে রক্তাক্ত করছে। এটাই কি স্বাধীন দেশ?
কোটার সংস্কারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হচ্ছে তা পাকিস্তান আমলের নিপীড়নকেও ছাড়িয়ে গেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জেএসডি সভাপতি বলেন, তারা সংস্কার চেয়েছে। কিন্তু আপনি বাতিল করে দিলেন। আবার বলছেন কোটা থাকবে। এখন তাদের ওপরে আপনার গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা যেভাবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করেছে পাকিস্তান আমলেও এভাবে নির্যাতন করা হয়নি।
সড়ক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে। আর সরকার বলছে দেখেশুনে সড়কে চলাচল করা উচিত। এতো বড় নির্লজ্জ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনও আসেনি। কিছুদিন আগে মাদক নির্মূলের নামে ১৭৬ জনকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সরকার ভিন্ন ধরনের খেলা খেলছে। এই খেলা বন্ধ করতে হবে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন