স্টাফ রিপোর্টার : মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, কোনো নার্স নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগ বাণিজ্যের স্থান থাকতে পারে না। যারা মানব সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেছেন, সেক্ষেত্রে কিসের বাণিজ্য।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নার্সদের অবস্থান কর্মসূচি ও সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মিজান বলেন, যে নীতিতে নার্সদের আশ্বাস দেয়া হয়েছে, তাদের ১০ বছর আটকিয়ে রাখা হয়েছে, সেই আশ্বাস বাণীর সাথে একটি জাতি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে পাসকরাদের ৮০ শতাংশ ২০১৩ সালে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকিদের পরে নিয়োগ দেয়ার কথা। একই ক্ষেত্রে দুটো ভিন্ন আইন কখনো চালু থাকতে পারে না।
পিএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কোনো দোষ নেই। যদি মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বলা হয় আমরা এতজন নিয়োগ দিতে চাই, তোমরা ব্যবস্থা করো। পাবলিক সার্ভিস কমিশন তখন পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। মন্ত্রণালয় যদি পূর্বের নীতি থেকে অকারণে বিচ্যুতি ঘটায় তাহলে আমাদের সন্দেহ করার কারণ আছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নার্সদের এই চিত্র জানতে পারলে তাৎক্ষণিকভাবে এই সমস্যার সমাধান করে দেবেন। ঠিক যেমন পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে। তিনি বৈশাখের আগে তাদের বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন। ঠিক যদি এখনি নার্সদের এই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছায় তাহলে আমার বিশ্বাস তিনি বৈশাখের আগেই নার্সদের দাবি বাস্তবায়নের নির্দেশ দেবেন। এ সময় বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রিনা আক্তার ও মহাসচিব ফারুক হোসেনও বক্তব্য রাখেন। গত ২৮ মার্চ পিএসসি ৩ হাজার ৬১৬ সিনিয়র স্টাফ নার্স পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও আগের মতো জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নার্স নিয়োগ দেয়ার দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বেকার নার্সরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন