মালয়েশিয়ায় ৩৯৯জন বাংলাদেশীসহ সহস্রাধিক অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটি’র অভিবাসন বিভাগ। এদিকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করণের সময় বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা। অবৈধ অভিবাসী ধরতে অভিবাসন বিভাগ পরিচালিত অপারেশন মেগা থ্রি চলাকালে ১ হাজার ২২৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে ৩ জুলাই এই তিনদিনে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছে ৪৭৩ টি অভিযান। অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোস্তাফার আলী জানিয়েছেন, ৩ দিনের পরিচালিত অভিযানে সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছে বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিক।
অভিযানে ৩৯৯ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এরপর রয়েছে ১৬৪ জন ইন্দোনেশিয়ান, ফিলিপাইনের ১৫৭ জন, মিয়ানমারের ১০৯ জন, থাইল্যান্ডের ৪৩ জন এবং ভিয়েতনামের ৪১ জন। তিনি জানান, আটককৃতদের মধ্যে ৯২২ জন পুরুষ এবং ২৫৩ জন নারী আর বাকি ৪৯ জন শিশু। নকল বা ভুয়া কাগজপত্র ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫ জন নিয়োগকর্তাকে আটক করা হয়েছে। ৩০ জুন রি-হায়ারিং (পুনঃনিবন্ধন) প্রোগ্রাম শেষে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে মেগা থ্রি অভিযান পরিচালিত হয়।
দেশটির অভিবাসন বিভাগের তথ্য মতে, অবৈধ অভিবাসীদের পুনঃনিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে রি-হায়ারিং প্রোগ্রাম চলে দীর্ঘ আড়াই বছর। মোট ৭ লাখ ৪৪ হাজার ৯৪২ জন অবৈধ অভিবাসী এবং ৮৩ হাজার ৯১৯ নিয়োগকর্তা এই প্রোগ্রামে আবেদন করেন। ৩০ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৯৬৬ জনের আবেদনপত্র যাচাই করা হয়।
এদিকে অবৈধদের বৈধ হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশি ও অন্যান্য দেশের এজেন্টরা ভিসা না করে লাখ লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু অভিযোগই নয় প্রকৃতপক্ষেই মালয়েশিয়াজুড়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার বাংলাদেশি। খোঁদ বাংলাদেশির হাতেই বাংলাদেশিদের প্রতারণা সব থেকে বেশি বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। অনেকেই ভয়ে বর্তমানে জঙ্গলে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এ ছাড়া প্রবাসীদের একটি অংশ অভিযোগ করে আসছেন, পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ায় অনেকেই সরকারের বৈধ হওয়ার সুযোগটি কাজে লাগাতে পারছেন না। পাসপোর্ট না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন অনেকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন