চরফ্যাশন থানা রোডে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৮বস্তা অবৈধ স্বর্ণা বীজধান আটক করা হয়েছে। আটক বীজধান উপজেলা কৃষি অফিসের সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। আজ রোববার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঠাকুর কৃষ্ণ দাস জনৈক কৃষক ধান ক্রয় করার সময় বিষয়টি ধরা পড়ে। এতে অভিযান চালিয়ে রাব্বি ট্রেডার্স থেকে ১৬বস্তা, হাওলাদার ট্রেডার্স ১২বস্তা ও আরিফ ট্রেডার্স থেকে ৪০বস্তাসহ মোট ৬৮বস্তা অবৈধ স্বর্ণা বীজধান আটক করা হয়। বস্তার লেভেলে লেখা রয়েছে মানঘোষিত ধানবীজ। অঙ্কুরোধন ক্ষমতা ৮০ ভাগ, বিশুদ্ধতা নূন্যতম ৯৭ ভাগ, আদ্রতার হার (সর্বোচ্চ) ১২ভাগ। পরীক্ষণ ও প্যাকেটিং তারিখ এপ্রিল-১৮। মেয়াদ লেখা রয়েছে চলতি মৌসুম। নির্ধারিত কোনো মেয়াদ না থাকায় সাধারণ কৃষকগণ ধানের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এগুলো লোকাল ধান। এই বীজধান নিম্নমানের। অসাধু ব্যবসায়ীরা প্যাকেট করে বাজারজাত করেছে। নেই কোনো সরকারি লাইসেন্স ও অনুমোদন। অবৈধভাবে বিক্রি করে সাধারণ কৃষককে প্রতারিত করা হচ্ছে। শশীভূষণের কৃষক আঃ কাদের বলেন, আমি চরফ্যাশন হাওলাদার ট্রেডার্স থেকে ২ বস্তা স্বর্ণা ধানের বীজ নিয়ে বীজতলাতে লাগিয়েছি। কোনো বীজই গজায়নি। রাব্বি ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, আমি লালমোহন শাহীন স্টোর থেকে ৫০বস্তা ধান এনেছি। ৩৪ বস্তা বিক্রি ৫০০টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে। ১৬ বস্তা ঘরে রয়েছে। এইগুলো বৈধ না অবৈধ তা আমি জানিনা। চরফ্যাশন বাজারের আরো অনেকে এই ধান এনেছে। লালমোহনের শাহীন স্টোরের প্রোপাইটর মোঃ শাহীন বলেন, আমরা কৃষকের চাহিদা আছে বিধায় সরকার অনুমোদনকৃত বিএডিসি ধানের সাথে বরিশাল লাইন রোড থেকে কিছু স্বর্ণাধানের বীজ আনা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন