স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তা মোমেন মোকশেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল (রোববার) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী থাকাকালে তিনি এই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাবলু জানান, ওই বছরের ১ নভেম্বর দুবাই থেকে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম আসেন আলাউদ্দিন চৌধুরী। ওইদিন লাগেজ হারিয়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। পরদিন বিমানবন্দরের ‘হারানো ও প্রাপ্তি’ শাখায় আলাউদ্দিনকে নিয়ে হাজির হন মোমেন মোকশেদ। আলাউদ্দিনের লাগেজটি নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাড় করাতে চাইলে স্ক্যানিং করে তাতে ২৫টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন মোমেন মোকশেদ ও আলাউদ্দিন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গা থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে মামলা করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক এইচএম আখতারুজ্জামান ২০১৬ সালের ১৬ জুন সাত জনকে আসামি করে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। অন্য আসামিরা হলেন- কাস্টমসের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, বিমানের ট্রাফিক হেলপার একেএম নূরুদ্দিন, আনসারের সহকারী প্লাটুন কমাÐার ইলিয়াস উদ্দিন, আনসার সদস্য মাহফুজার রহমান ও শাহিন মিয়া এবং দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিন চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন