ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মেইন সড়ক ঘেষে প্রাইমারী স্কুলের বিপরীত পাশে পদ্মা নদীর পাড় এলাকায় গতকাল রবিবার ভোররাত থেকে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাত্র দু’ঘন্টার ব্যবধানে উপজেলা পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে পাঁচটি বসতভিটে, অন্তত পাঁচ একর জমি সহ বহু গাছপালা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ শেখ আলাউদ্দিন ও শেখ সোহরাব সহ অনেকে জানায়, রবিবার ভোররাতে বৈরী আবহাওয়া সহ দুমকী হাওয়া বইছিল। হঠাৎ বাড়ীর পাশের পদ্মা পাড়ে প্রচন্ড গর্জন শুনে এগিয়ে যাই। পদ্মা পাড়ে বড় বড় ঢেউ নিয়ে একরের পর একর জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। একই সময় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ গৃহিনী আমেনা বেগম ও সামেলা আক্তার সহ অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলে ওঠে “ সারা জীবনের স্বপ্ন সাধনা সবকিছু পদ্মায় নিয়ে গেছে”।
রবিবার দুপুরে ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুন নাহার, উপজেলা চেয়ারম্যান এ.জি.এম. বাদল আমিন ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো হলো- শেখ আলাউদ্দিন, শেখ সোহরাব, শেখ রহিম, মনসুর উদ্দিন ও আঃ সালাম শেখ। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো এলাকাবাসীর সহায়তায় বসত ঘরগুলো ভেঙে নিয়ে পার্শ্ববতী এমপি ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে রেখেছেন।
ফরিদপুর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ জানান, “ আমরা খবর শুনে তাৎক্ষণিক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং উপজেলার প্রধান সড়ক সহ প্রাইমারী স্কুলটি রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে জি-ও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি”।
উপজেলা চেয়ারম্যান এ.জি.এম বাদল আমিন বলেন, “ আপাতত ভাঙনমুখী স্কুলটি সরিয়ে নেওয়ার কোনো চিন্তা ভাবনা আমরা করছি না। পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধে বেশী পরিমানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং কার্যক্রমের উপর গুরুত্ব দিয়েছি”। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার বলেন, “ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে দ্রæত সহায়তা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকাও চলে গেছে”।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন