শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সিলেটে গুম, গণগ্রেফতার আতংকে ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী আরিফ

সিলেট অফিস | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৮, ২:১০ পিএম | আপডেট : ৪:৪৮ পিএম, ২৩ জুলাই, ২০১৮

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে গণগ্রেফতার শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার দুপুরে তিনি নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কর্মীদেরকে গ্রেফতার করে গুম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রেফতার করে অস্বীকার করছে প্রশাসন। তিনি বলেন, আমাদের সিনিয়র নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের পায়তারা করা হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় যে কোন নেতাকর্মী গুম হতে পারেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গেল সেখান উপস্থিত হয়ে আমরা প্রতিবাদ করি। কিন্তু ওসি আক্তারুজ্জামন আমাকে হুমকি ও আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকি প্রদান করেন। বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশী তল্লাশি চলছেন, সিনিয়র নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের সন্তানদেরকে গ্রেফতরা করা হচ্ছে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে সরকারী কর্মকর্তারা আওয়ামীলীগে পক্ষে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে আমি ঢাকা গিয়ে প্রধান নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করে আসবে। যাতে সিলেটে অবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। সিলেটের মানুষ সব সময় শান্তি প্রিয়। নির্বাচন নিয়ে সিলেটে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র চলবে না। তার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সিলেটের রাজনীতিবিদের মাঝে সহনশীলতা, সহ-মর্মিতা রয়েছে। সেই জন্য সিলেটে অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া নানা বাধা উপক্ষা করে হযরত শাহজালাল মাজার জিয়ারত করতে আসলে সিলেটের মানুষ যে ভালোবাসা দেখেছি না নজিরবিহীন। মাজার জিয়ার থেকে ফিরেই খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনে এর জবাব দিবে সিলেটের মানুষ।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সিলেটে ধানের জয় হবে। সিলেটের মাটি ধানের শীষের ঘাটি।
এ সময় তিনি আরিফ জানান- ভোররাতে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাঈদ আহমদকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এছাড়া তার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সহ আরো কয়েকজনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আরিফ দাবি করেন- গণগ্রেপ্তার চলার কারনে বিএনপির নেতাকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ব্যর্থ। সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও সিলেট বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আরিফুল হক চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন