বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের নিজস্ব পানিসীমায় মৎস্যসম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও সম্ভাব্য পরিবর্তন-বিবর্তন সম্পর্কে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে অবশেষে গবেষণা জাহাজ ‘আরভি ড. ফ্রিডজফ নেনসেন’ চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) নরওয়ের অত্যাধুনিক ও বিশেষায়িত এ জাহাজটি বন্দরের সাইলো জেটিতে ভিড়েছে। বিভিন্ন রাসায়নিক বর্জ্যরে অব্যাহতভাবে নিঃসরণ থেকে দূষণের (বিশেষত নাইট্রাস) কারণে বঙ্গোপসাগরে ‘অক্সিজেন-শূন্য’ কিংবা ‘নূন্যতম অক্সিজেন’ জোন বা এলাকা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীগণ সম্প্রতি আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। সেখানে মাছসহ প্রাণিজগতের অস্তিত্ব হুমকির মুখে রয়েছে। উক্ত জাহাজের সাহায্যে গবেষকগণ অক্সিজেন-শূন্য এলাকা সনাক্ত করার উদ্যোগও নিয়েছেন।
জাতিসংঘের পতাকাবাহী নরওয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন রিসার্চ (আইএমআর) পরিচালিত জাহাজ ‘আরভি ড. ফ্রিডজফ নেনসেন’ প্রেরণ একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক প্রকল্প। কেননা বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো গবেষণা ও জরিপ জাহাজ নেই। সরকার তথা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এসেছে জাহাজটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বাংলাদেশের উদ্দেশে জাহাজটি শ্রীলংকা কলম্বো বন্দর ত্যাগ করে। আগামী ২ থেকে ১৭ আগস্ট এ জাহাজের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ পানিসীমায় জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ১৯ আগস্ট জাহাজটির চট্টগ্রাম ত্যাগ করার সিডিউল রয়েছে। এ জাহাজের লোকাল এজেন্ট গেøাব লিংক অ্যাসোসিয়েটস লিঃ সূত্র জানায়, বিশ্বের অত্যাধুনিক গবেষণা জাহাজ ‘আরভি ড. ফ্রিডজফ নেনসেন’ বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় অ্যাকুয়াস্ট্রিক জরিপ কাজ পরিচালনার জন্য এসেছে।
জাহাজটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামুদ্রিক মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং ইকোসিস্টেম সম্পর্কে জরিপ কাজ চালিয়ে আসছে। এ জাহাজ সমুদ্রের উপরিভাগে মাছের মজুদ, জীববৈচিত্র্য, পানির গুণাগুণ বৈশিষ্ট্য, বিভিন্ন ধরনের দূষণ সম্পর্কে জরিপ চালাবে। সাগরের ১০ মিটার থেকে ২ হাজার মিটার গভীরতা পর্যন্ত জরিপ কাজ পরিচালনায় সক্ষম জাহাজটি। এ গবেষণা জাহাজে বিভিন্ন দেশের ১৯ জন বিজ্ঞানী এবং ১৫ জন নাবিক রয়েছেন। অবশ্য বঙ্গোপসাগরে জরিপ-গবেষণা পরিচালনার সময় বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ যুক্ত থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন