শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মৎস্যচাষী বিএনপি না ছাড়ার খেসারত দিচ্ছে জেলে বসে

প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নাম তার আতিকুর রহমান। পেশায় মৎস্যচাষী। কুমিল্লার মুরাদনগরের উত্তরপাড়ার সরকার বাড়ির মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। রাজনৈতিক দল করেন বিএনপি। পেশাগত ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। যত সমস্যা রাজনৈতিক দল বিএনপি। আর তাই শেষ পর্যন্ত আতিককে বিএনপি না ছাড়ার খেসারত দিতে হয়েছে মাদক মামলায় জেলে গিয়ে। পুলিশ আতিককে একাই আটক করে মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ সড়কের কাছ থেকে। আর মামলায় দেখানো হয়েছে তাকে দেবিদ্বার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তার সাথে আরও দুই যুবক ছিল, যাদের কাছে পাওয়া গেছে ৪শ’ ইয়াবা ট্যাবলেট। মুরাদননগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও আতিকের পরিবার এঘটনাকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক দাবী করেছেন।
আতিকের পরিবারের অভিযোগ, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন পুলিশকে ম্যানেজ করে মিথ্যা, বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে মাদক মামলায় আতিককে ফাঁসিয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগ থেকে আতিককে বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতারা চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু আতিক তাতে সাড়া না দেয়ায় তাকে নিজ থানা এলাকার বাইরে অন্য থানা এলাকায় মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। বিএনপি না ছাড়ায় তাকে খেসারত দিতে হচ্ছে জেলে বসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ সড়ক দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আতিককে সাদা পোষাকধারি কিছু লোক একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাটি জানার পর মুরাদনগর থানায় জিডি করতে গেলে আতিকের পরিবারকে থানা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। পরের দিন আতিকের পরিবার জানতে পারে তাকে মাদক মামলায় দেবিদ্বার থানা থেকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিনা কারণে আতিককে আটক করে মুরাদনগর থানায় রাখাটা পুলিশের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে বলেই কৌশল হিসেবে তাকে দেবিদ্বার থানায় মাদক মামলায় আসামীর নাটক সাজানো হয়েছে। আতিক ও তার ভাই এনামুল নিজ এলাকায় অনেক জনপ্রিয়। এনামুল নিজেই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী। তাকে তো আগেই পুলিশের বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে। পরের ধাপটাও ক্ষমতাসীনরা পূর্ণ করেছেন এনামুলের ভাই আতিককে মুরাদনগর পুলিশ দিয়ে আটক করে। যা পরে আরেক উপজেলা দেবিদ্বারের ঘটনা হয়ে মাদক মামলা হয়েছে। আর এ মিথ্যা মামলায় বিএনপি কর্মী আতিককে জেলে পাঠানো হয়েছে। মুরাদনগর বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন অঞ্জন ও সেক্রেটারী মোল্লা মুজিব এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে আতিক ও এনামুলের মুক্তি দাবি করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন