সপ্তম দিনের মতো চলছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। একই সঙ্গে অঘোষিতভাবে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীতে দেখা যাচ্ছে না কোনও গণপরিবহন। শনিবারও সকাল থেকে কোনও গণপরিবহন রাস্তায় নামেনি। চলছে না দুরপাল্লার বাসও। তবে ঢাকা-কলকাতা রুটের বাস চলছে। গাবতলি বাস টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির এক নেতা জানান, ভোরে বেনাপোল থেকে রওনা করা কলকাতা থেকে ঢাকামুখি বেশ কয়েকটি বাস দুপুরে ঢাকায় প্রবেশ করেছে। কয়েকটি বাস ঢাকা থেকে ছেড়েও গেছে।
নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। গতকাল শুক্রবার রাতের মতো আজ শনিবারও রাতে বাস চলবে বলে জানিয়েছের তারা। তবে মালিকরা জানিয়েছেন, শাজাহান খান সমর্থিত শ্রমিক ফেডারেশনের চাপেই তারা রাস্তায় গাড়ি নামাতে পারছেন না। শুক্রবারেও রাস্তায় গাড়ি নামাতে বাধা দেয়া হয়েছিল। আজকে বাধা দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর সায়েদাবাদ, ফুলবাড়ি, গাবতলি, ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃনগর কিংবা দূরপাল্লার কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। নগরীতেও দূরপাল্লার কোনও বাস প্রবেশ করেনি ঢাকা-কলকাতার বাস ছাড়া। মাঝেমধ্যে বিআরটিসির দুই একটা বাস দেখা যাচ্ছে। ভাঙচুরের আশঙ্কায় পরিবহন নামাচ্ছেন না বলে দাবি করছেন মালিকরা। এতে করে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
মালিক সমিতির এক নেতা জানান, ঢাকা-কলকাতা বাসের অধিকাংশ বাসের যাত্রীই চিকিৎসার জন্য ভারতে যান বা চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরেন। তা ছাড়া আন্তর্জাতিক রুটের এই বাসগুলো প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র হালনাগাদ থাকে। চালকদেরও লাইসেন্স না থাকার সুযোগ নেই। সা কারণেই হয়তো তারা অবাধে চলতে পারছে। দুপুরের দিকে কয়েকটি বাস বেনাপোল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দাবি, তারা চাইলেও রাস্তায় পরিবহন নামাতে পারছেন না। নামালেই নানা অজুহাতে ভাঙচুর করা হচ্ছে। এখনও তারা সড়ককে নিরাপদ মনে করছেন না। তাদের অভিযোগ, সঠিক কাগজপত্র থাকার পরেও অনেক পরিবহন ভাঙা হয়েছে। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছে, কোনো বাসকেই চলতে বাধা দেয়া হয়নি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলে যে কোনো পরিবহনই রাস্তায় অবাধে চলতে পারছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন