বিএনপি-জামায়াত নয় বছরে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সর্বশেষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি-জামায়াত একটি অরাজনৈতিক আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিচ্ছে। এমনকি স্কুল-কলেজের পোশাক পরিয়ে ভুয়া পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সহিংসতা করার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে, এ খবরও পাওয়া গেছে।
শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মেলন করেন।
দলীয় কার্যালয়ে হামলাকারীরা শিক্ষার্থী নয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তেড়ে এসেছে, তারা শিক্ষার্থী নয়। তারা রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের ১৭ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইট-পাটকেল নিক্ষেপের কারণে দলীয় কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কারা এই উসকানি দিচ্ছে? কারা আইডি বানিয়ে অনুপ্রবেশ করছে? তাদের নাশকতার পরিকল্পনা আছে, এ খবর আমাদের কাছে আছে।’
নাশকতার বর্ণনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন হামলাকারীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। হামলাকারীরা নাশকতার কর্মকাণ্ডে অভ্যস্ত এবং প্রশিক্ষিতরাই এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় সচেতন দেশবাসীর কাছে তিনি আহ্বান জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে, তাদের হাতিয়ার বানিয়ে কেউ যেন কোনো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে না পারে, এ জন্য সকলকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন