স্টাফ রিপোর্টার : রক্তজনিত রোগ হিমোফিলিয়া সম্পর্কে মানুষের মধ্যে এখনো সঠিক ধারণা নেই। তাই হিমোফিলিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতার পাশাপাশি এ রোগের প্রতিকার সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব হিমোফিলিয়া দিবস উপলক্ষে গতকাল বাংলাদেশ ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়ার উদ্যোগে রাজধানীর উত্তরার ল্যাব ওয়ান হাসপাতালে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে হিমোফিলিয়ার রোগীর সংখ্যা কত সে বিষয়ে সঠিক তথ্য নেই, তবে প্রতি দশ হাজারে একজন এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সেই হিসাব অনুযায়ী দেশে এ রোগের প্রায় ১৬ হাজার রোগী রয়েছে। কিন্তু এর সঠিক পরিসেংখ্যান নেই। মাত্র ২০০০ রোগীর পরিসংখ্যান রয়েছে। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশ রোগী হিমোফিলিয়া ‘এ’ এবং ২০ শতাংশ রোগী হিমোফিলিয়া ‘বি’- তে আক্রান্ত।
কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশ ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া জানায়, এখন পর্যন্ত ৫৫০ জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছে। হিমোফিলিয়া কী, এ রোগের কারণ, প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় এখনও মানুষের অজানা। তাই হিমোফিলিয়া রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতার পাশাপাশি এ রোগের প্রতিকার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিমোফিলিয়া রোগীদের নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয় এবং প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয় যা সবার পক্ষে সহজসাধ্য নয়। তাই অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা সেবাপ্রদান করা হয়। হিমোফিলিয়া রোগীদের মানসিক অবস্থার উন্নয়ন, হিমোফিলিয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা, প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতিসহ জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া প্রতিবছর হিমোফিলিয়া দিবসে বিভিন্ন ধরনের অনষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
দিনব্যাপি অনুষ্ঠানে প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব হিমোফিলিয়া এর সভাপতি ডা. মো. সালাহ্উদ্দীন শাহ। সকাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ, ফিজিওথেরাপী, প্লাজমা ট্রান্সফিউশন, ফেক্টর-৮ ইনজেকশন প্রদান করা হয়। ৩০০টি প্লাজমা ও শতাধিক ফেক্টর ইনজেকশন বিনামূল্যে হিমোফিলিয়া রোগীদের প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবাপ্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন