মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মাগুরার বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাক ও গাড়ী চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক

প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাগুরা থেকে সাইদুর রহমান : মাগুরা জেলার জাতীয় আঞ্চলিক বিভিন্ন সড়কে ধারণ ক্ষণমতার অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় মেয়াদ শেষের আগেই সড়ক-মহাসড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মাগুরা জেলার ওপর দিয়ে বেনাপোল- ঢাকা, মংলা-ঢাকা বিশ্ব সড়ক দিয়ে বাধাহীনভাবে চলছে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই ট্রাক। এ ছাড়া জেলার অন্যান্য সড়কগুলোর ওপর দিয়ে একইভাবে পণ্য পবিবহন হওয়ায় সড়কগুলো অল্পদিনে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে যশোর-মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা-মাগুরা, সাতক্ষীরা-মাগুরা, খুলনা-মাগুরা, কুষ্টিয়া-মাগুরা, নড়াইল-মাগুরা, মাগুরা-শ্রীপুর-মাগুরা, ওয়াপদা মোড়-লাঙ্গলবাঁধ, মাগুরা-বুনাগাতি, মাগুরা-মহম্মাদপুর, আড়পাড়া-বুনাগাতি, শ্রীপুর-লাঙ্গলবাঁধ সড়কগুলো সংস্কারের পর পরই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
ফলে সরকারের প্রচুর পরিমাণ অর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুন্নবী তরফদার জানান, জেলার ওপর দিয়ে যে সব সড়ক মহাসড়ক রয়েছে সে সব সড়ক দিয়ে ৬ চাকার ট্রাকের পণ্য পরিবহনের সর্বোচ্চ ওজন সীমা ১৫ মে টন। কিন্তু এসব সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ মে টন পাথর বালী অবাধে পরিবহন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ১০ চাকার ২২ মেট্রিক টন ওজন সীমার ট্রাকে ৫০ থেকে ৫৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত পাথর বালীসহ অতিরিক্ত ওজনের বিভিন্ন যন্ত্র পরিবহন করা হচ্ছে।মাঝে মধ্যেই ৩০ চাকার এক ধরনের যানবাহনে শতাধীক টন ওজনের বিভিন্ন যন্ত্র পরিবহন করা হচ্ছে। অনুমোদিত ওজন সীমার অতিরিক্ত ওজনের পণ্যবাহী ট্রাক ও যাবাহন চলাচলে জেলার এসব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কগুলো অকালেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এসব সড়ক দিয়ে বিভিন্ন আকারের ট্রাকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে উঁচু করে বৈদ্যুতিক খুটি, রেল শ্লিপার, লোহার রড এঙ্গেল, সিমেন্ট পরিবহন করা হয়।
বাধাহীনভাবে এ ধরনের পণ্যবাহী যান চলাচলে সড়ক মহাসড়কগুলো তাড়াতাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। মাগুরা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ইফতেখার আলী জানান, মাগুরা জেলায় তাদের আওতায় ৮৫০ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এসব সড়কের ধারণ ক্ষমতা ২০ টন হলেও অতিরিক্ত ওজনের পণ্য পরিবহন করা হচ্ছে। এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র না থাকা এবং জাতীয় চেতনাবোধ না থাকায় সড়কের জন্য ক্ষতিকর হলেও এক শ্রেণীর মানুষ এ কাজ করে যাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন