বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

ফেরাউনের নাম বিভ্রান্তি

কে. এস. সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

পবিত্র কোরআনে ৭৪ বার ‘ফেরাউন’ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে তার নিষ্ঠুর অত্যাচার-নির্যাতনের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। নমরুদের ন্যায় সেও নিজেকে খোদা দাবি করেছিল। হজরত মুসা (আ.) এর সময়ের এ ফেরাউনও তার জাতির খোদাদ্রোহিতা ও পাপাচারের জন্য বহুবার তাদের উপর নানা প্রকারের খোদায়ী গজব, আজাব নাজেল হয়েছে এবং অবশেষে ফেরাউন তার জাতি সমেত নীল নদে ডুবে মরে। আল্লাহ মানুষের পরীক্ষার জন্য পাপিষ্ট এ ফেরাউনের লাশ অক্ষত রেখে দিয়েছেন আজো। বিশে^র এ কুখ্যাত প্রতাপশালী ব্যক্তির কাহিনী বিশ^ ইতিহাসে এক চমকপ্রদ ঘটনা, যা বিশ^ মানবের জন্য এক শিক্ষণী অধ্যায় হয়ে আছে। তিন জন বিখ্যাত নবীর আমলে যে তিন জন ফেরাউন রাজত্ব করেছিল তাদের নাম বিভ্রান্তি যথেষ্ট গোলক ধাঁধার সৃষ্টি করেছে। যেমন-
১. সেনান ইবনে আল-আশহাল ইবনে আলওয়ান ইবনে আল আমিদ ইবনে আমলাক হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর যুগে ছিল ফেরাউনদের প্রথম বাদশাহ।
২. রাইয়্যান ইবনে ওয়ালিদ হজরত ইউসুফ (আ.) এর সময়ে ছিল দ্বিতীয় ফেরাউন।
৩. আল ওয়ালিদ ইবনে মোছয়েব হজরত মুসা (আ.) এর আমলে ছিল তৃতীয় ফেরাউন।
সংক্ষেপে সেনান, রাইয়্যান এবং আল ওয়ালিদ মিশরের এ তিন ফেরাউন তিন নবীর যুগে বাদশাহ ছিল। হজরত ইব্রাহীম (আ.) ও হজরত মুসা (আ.) এর আলোচনায় কোরআনে যে ফেরাউনের অত্যাচার, নির্যাতনে আল্লাহর গজব-আজাবে ধ্বংস হওয়ার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে তারা ইব্রাহীম (আ.) এর যুগের সেনান ও হজরত মুসা (আ.) এর সময়ের আল ওয়ালিদ নামের দুই ফেরাউন। যদিও এদের নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
একটি বর্ণনা অনুযায়ী হজরত ইব্রাহীম (আ.) বাদশাহ নমরুদের যুগে জন্মগ্রহণ করেন। নমরুদ ছিল কেনআনের পুত্র। কেনআন ছিল হজরত নূহ (আ.) এর পুত্র হামের পুত্র। কোরআনে হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর ঘটনাবলির যেসব বর্ণনা রয়েছে তার অধিকাংশই নমরুদের সাথে জড়িত। হজরত ইব্রাহীম (আ.) প্রথমে বাবেল হতে হিজরত করে র্হারানে চলে আসেন। ঐতিহাসিকদের মতে, বিশে^র বুকে র্হারানই প্রথম শহর যা তুফানে নূহের পর আবাদ করা হয়। হজরত ইব্রাহীম (আ.) ৭৫ বছর বয়সে আল্লাহর নির্দেশে র্হারান ছেড়ে কেনআনে চলে আসেন। কিছু দিন পর তিনি বায়তুল মোকাদ্দাস হতে মিশরে চলে যান, তখন মিশরে কিবতীদের বাদশাহ ছিল ফেরাউন, যার নাম সেনান। (বাদশাহ যেহাকের ভাই) মিশরে আগমনের পরবর্তী ঘটনাবলীর সাথে কিবতী বাদশাহ জড়িত। বর্ণিত আছে যে, মিসর হতে প্রত্যাবর্তনের পর ৮৬ বছর বয়সে তার বিয়ে হয় বিবি হাজেরার সাথে এবং তারই গর্ভে ইসমাঈল (আ.) জন্মগ্রহণ করেন, যাকে কোরবানী করার বিস্তারিত ঘটনা পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। উল্লেখ্য, মিশরে অবস্থান কালে ফেরাউনের এক বদ নিয়তির কারণে গজবে এলাহীর শিকার হয়ে সে পাথরে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। তওবা করার পর আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন। হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর এই মোযেজা বা অলৌকিক ঘটনায় সে অত্যন্ত অভিভূত হয় এবং হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর প্রতি ভক্তি ও সম্মান প্রদর্শন করে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তার কন্যা হাজেরাকে হজরত ইব্রাহীম (আ.) এর খেদমতে পেশ করে বলে বর্ণনা রয়েছে। এ ঘটনার পর তিনি আবার কেনআনে চলে আসেন এবং বায়তুল মোকাদ্দাসে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন, এই সময় বিবি হাজেরার সাথে তার বিয়ে হয়। যার কথা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেরাউনের নাম সম্পর্কিত মতভেদ অনুযায়ী হজরত ইউসুফ (আ.) এর সময়ের ফেরাউনের নাম ‘ওয়ালিদ ইবনে মোছয়েব ইবনে রাইয়্যান’। এ মতের বিরোধিতা করে কেউ কেউ বলেছেন, এটিই হজরত মুসা (আ.) এর যুগের ফেরাউন। হজরত ইউসুফ (আ.) এর যুগের ফেরাউনের নাম ‘রাইয়্যান’। মুসা (আ.) এর ফেরাউনের সাথে ‘রাইয়্যান’ নেই, আছে ‘ওয়ালিদ ইবনে মোছয়েব’, কিংবা ‘কাবুস’ অথবা ‘কানতুস’। আর এ ফেরাউনকে ‘আমালিকা’ গোত্রের বলে গণ্য করা হয়। এ আমালেকদের দুই প্রসিদ্ধ গোত্র সিরিয়ার ‘জাবাবেরা’ এবং মিসরের ‘ফারায়েনা’ (ফেরাউনের বহুবচন) নামে খ্যাত। এ দুই ঘরানাই সিরিয়া ও মিসরের রাজত্বের অধিকারী ছিল।
এ প্রসঙ্গে ঐতিহাসিকগণ একটি মজার কাহিনী বর্ণনা করেছেন এবং তা এই যে, যারা বলে মুসা (আ.) এর সময়ের ফেরাউন যে আমালেকা গোত্রের, তা বাস্তবভিত্তিক নয়, বরং তা ‘পালক’ ভিত্তিক। যারা ‘ওয়ালিদ ইবনে মোছয়েব ইবনে রাইয়্যান’ বলে দাবি করে তাদের মতে, সে ফেরাউন আমালেক সম্প্রদায়ভুক্ত। এ ফেরাউন সম্পর্কে লোকেরা মনে করে যে, আসলে সে ফেরাউন ‘ইস্ফাহানী’ ছিল এবং সেখানে সে আতরের ব্যবসা করত। ঘটনাচক্রে তার এ ব্যবসায় লোকসান হয় এবং সে ঋণী হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আমালেক সম্প্রদায়ের এ পালিত ফেরাউন দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং ঋণের বোঝার ভয়ে পালিয়ে বেড়ায়। উ™£ান্তদের মতো নানা স্থানে ঘোরা ফেরার পর এক সময় সে সিরিয়ায় পৌঁছে। সেখানেও ভাগ্য উন্নয়নের কোন উপায় না দেখে সে মিশরে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পথে সে দেখে যে, ‘এক দেরহাম’ এর বিনিময়ে দশটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। শহরে পদার্পণের পর সে দেখে একটি তরমুজ ‘এক দেরহাম’ এর বিনিময়ে পাওয়া যায়। সে ভাবলো এতে বেশ লাভ হতে পারে। সে বাইরে গিয়ে ‘এক দেরহাম’ এ দশটি তরমুজ নিয়ে আসে, কিন্তু যখন মিসরের বাজারে পৌঁছে তখন তার কাছে একটি তরমুজ অবশিষ্ট থেকে যায়। এর কারণ সে চিন্তা করে বের করল যে, এ দেশের সরকার খুবই বিশৃঙ্খল, অনিয়মের অনুসারী। সরকারি আমলা শাসকবর্গ যা খুশি তা করে, যার কাছ থেকে যা ইচ্ছা ট্যাক্স হিসেবে উসুল করে। তখন সে বুঝতে পারল যে তরমুজ ব্যবসায় তার কোন লাভ হবে না। তখন সে কবরস্থানে গিয়ে লোকদের কাছ থেকে মুর্দাপ্রতি এক দেরহাম ট্যাক্স উসুল আরম্ভ করে। সেখানকার লোকেরা এ পরিমাণ ট্যাক্স দিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল, এতে তাদের আশ্চর্য হওয়ার কিছু ছিল না। প্রত্যেকেই ঐ ট্যাক্স প্রদান করত এবং কেউ জিজ্ঞাসাও করত না যে এ ট্যাক্স কেন উসুল করা হচ্ছে এবং কে উসুল করছে, কে নির্দেশ দিয়েছে। এ প্রতারণার সাহায্যে সে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করে।
একবার কবরস্থানে একটি মুর্দা আসে। তার সঙ্গে ছিল বহু লোক। তারা ছিল যথেষ্ট সমঝদার ও বুদ্ধিমান। তাদের কাছ থেকে সে যখন ট্যাক্স চায় তখন তাকে তারা জিজ্ঞাসা করে, ‘তুমি কে এবং কার নির্দেশে এ ট্যাক্স উসুল করছ?’ সে বলে, ‘আমি নিজের ইচ্ছায় উসুল করছি। কারও নির্দেশে নয়।’ যখন ঐ লোকেরা এ কথা জানল তখন তাকে ধরে শাসনকর্তার কাছে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার সময় তাকে অনেকটা প্রতিবন্ধকতার স্তর অতিক্রম করতে হয়। সে সময়কার ফেরাউনের নিকট নিয়ে যাওয়ার পর সে তাকে জিজ্ঞাসা করে যে, ‘তুমি কার নির্দেশে এ ট্যাক্স উসুল করছিলে?’ সে বলে, ‘আমি কারও নির্দেশে নয়, আমার ইচ্ছেমতেও নয়, বরং আমি একটি কৌশল অবলম্বন করেছিলাম আপনার নিকট পৌঁছার জন্য।’ সে আরও বলে, ‘আমি আপনার দেশের বিশৃঙ্খলা, অনিয়ম এতই শোচনীয় দেখি যে, আমার তা সহ্য হলো না। আমার ইচ্ছা হলো পরিস্থিতি আপনার কর্ণগোচর করা। কিন্তু আপনার দরবার পর্যন্ত পৌঁছার কোন উপায় ছিল না। তাই কৌশল অবলম্বন করে আমি ট্যাক্স উসুল করতে আরম্ভ করি এবং আপনার দরবার পর্যন্ত পৌঁছতে সক্ষম হই। এ কৌশলের সাহসও আমাকে যুগিয়েছে আপনার রাষ্ট্রের বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম। অতএব আমার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে এবং আপনার দরবার পর্যন্ত পৌঁছে গেছি।’ ফেরাউনকে সে বিশৃঙ্খলা-অনিয়মের বিস্তারিত বর্ণনা দান করে।
এ ব্যক্তির কথাবার্তা শুনে তাকে ফেরাউনের খুব পছন্দ হলো এবং অভিভূত হয়ে ‘আজীজ ও উজীর’ (রাষ্ট্রের দুই সর্বোচ্চ সম্মানিত ও ক্ষমতা সম্পন্ন পদ) পদে নিয়োগ করে। নব নিযুক্ত এ ‘আজীজ ও উজীর’ তার সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিচালনায় এতই প্রভাব বিস্তার করে যে, ফেরাউন তাকে রাষ্ট্রের সকল বিষয় তার কাছে সমর্পণ করে। সে সময় মিসরে একজনই বাদশাহ হতো এবং তার উপাধি হতো ফেরাউন। আর একজন শরীফ, তাকে বলা হতো ‘আজীজ’। এ লোককে ‘আজীজ’ নিযুক্ত করা হয় এবং তার পদমর্যাদা হয় সবার ওপর, আর অন্যান্য উজিরগণের মর্যাদা তারও নিচে। সুতরাং সে সময়কার ফেরাউনের মৃত্যুর পর লোকেরা একেই ফেরাউন ঘোষণা করে।
এ কাহিনী হতে জানা যায় যে, এ ফেরাউন ইস্ফাহানের অধিবাসী ও ব্যবসায়ী ছিল। কেউ কেউ বলেন, ‘আত্তার’ বা আতর ব্যবসায়ী কিংবা ইস্তাখারের অধিবাসী ছিল। ঘটনাচক্রে মিশরে এসে ফেরাউন পর্যন্ত পৌঁছে তার কায়েম মোকাম (প্রতিনিধি) হয়ে যায়, যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সে মিসরের অধিবাসী ছিল না এবং ফেরাউনের বংশধরও ছিল না। হজরত ইউসুফ (আ.) এর সময় যে ফেরাউন বর্তমান ছিল তার নাম ছিল রাইয়্যান। হজরত ইউসুফ (আ.) এর আরও বহুকাল পরের নবী হজরত মুসা (আ.)। তাহলে প্রশ্ন আসে, তিনি কোন ফেরাউনের আমলে ছিলেন? এ প্রশ্নের সঠিক জবাব পাওয়া কঠিন, তবে কেউ কেউ বলেন, ‘ওয়ালিদ ইবনে মোছয়েব ইবনে রাইয়্যান’ ছিল মুসা (আ.) এর সময়ের ফেরাউন এবং বলা হয় যে, সম্ভবত মোছয়েব এর সময় মুসা (আ.) জন্ম গ্রহণ করেন এবং ওয়ালিদের সময় বনি ইসরাইল নাজাত লাভ করে। আরবের আলেমদের মতে, আহলে কিতাব (গ্রন্থধারীগণ) এ ফেরাউনের নাম ‘কাবুস’ এবং তার কুনিয়াত ‘আবু মুররা’ এবং ‘কিবতী’ ছিল।
ফেরাউনের নাম নিয়ে ব্যাপক মতভেদের কারণে আসল ফেরাউন কে তা নিশ্চিত নয়। কেননা তার নাম কানতুম, আমালিক কিংবা আমলাক ইবনে লাজর ইবনে ইরাম ইবনে সাম ইবনে নূহ এর বংশধারীগণের মধ্যে হতে হোক কিংবা ‘ইস্ফাহান’ এর আত্তার বা ইস্তাখারের অধিবাসী হোক কোনটাই নিশ্চিত নয়। কাজেই বিরোধমূলক নাম ওয়ালিদ মোছয়েব, কাবুস এবং কিবতী যেটাই হোক না কেন কোরআনে কেবল ‘ফেরাউন’ উল্লেখ করে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে দিয়েছে।
ফেরাউন ক্ষমতাসীন হওয়ার পর কিবতীদের প্রতি বিশেষ সুযোগ সুবিধা এবং সমগ্র প্রজাসাধারণের ওপর তাদেরকেই অগ্রাধিকার প্রদান করে। বিশেষভাবে বনি ইসরাইলের মোকাবিলায় কিবতীদেরকে প্রাধান্য দেয় এবং আমালেকদের প্রতি সুনজর রাখে, এমনকি আমালেকরাও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ে পরিণত হয়ে যায়, পক্ষান্তরে বনি ইসরাইল তাদের খাদেম ও গোলামে পরিণত হয়। ফেরাউনের গোলামী-দাসত্ব হতে বনি ইসরাইলকে মুক্ত করার জন্য হজরত মুসা (আ.) এর ভ‚মিকার বিবরণ কোরআনে বর্ণিত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
রহমান ২৯ জুন, ২০২২, ১১:৪০ এএম says : 0
এইসব গালগল্প ও কিচ্ছাকাহিনী সত্যিই হাস্যকর। ফেরাউন ছিল মিশরের রাজার উপাধি। আর মিশরের রাজারা বংশ পরম্পরায় শাসন ক্ষমতা অর্জন করত।
Total Reply(0)
Joy ২ জুন, ২০১৯, ৯:১৭ এএম says : 0
interesting
Total Reply(0)
hammod abdur razzak ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ৭:১০ পিএম says : 0
আপনারা যে বললেন ফেরয়াউন নীল নদে ডুবে মরেছে,তার কি কোন রেফারেন্স আছে?? আমার জানা মত ফেরয়াউন লোহিত সাগরে ডুবে মরেছে।।আশা করি উত্তরটা দিবেন।।।।ধন্যবাদ।।
Total Reply(1)
md Jamal Uddin ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৫৯ পিএম says : 0
হ্যাঁ এটা সত্যি। সবাই প্রচলিত কথার উপর ভিত্তি করে নীল নদ বলে আসছে এখনও। কিন্তু তার কোরআনে দেখে না যে সেখানে বলা আছে সমুদ্র। অথচ নীল নদ কোন সমুদ্র না বরং সেই সময় নদীর থেকেও ছোট ছিল। আর নীল নদ মিশরের ভেতরেই আর নীলনদ পার হলেই লোহিত সাগর। তাহলে কি মুসা আঃ বনী ইসরাইলদের নিয়ে লোহিত সাগর আর নীলনদের মাঝেই থেকে গিয়েছিলেন? বরং লোহিত সাগর (বর্তমানে সুরেজ খাল যেখান থেকে শুরু) পার হলে ইজরাইল। তাহলে আপনিই বিচার করুন নীল নদ নাকি লোহিত সাগর?
এস.এস.নোমান ২৪ মে, ২০২১, ৪:৫৩ এএম says : 0
জনাব জামালউদ্দীনের কথা পৃষ্ঠে বলছি | নীল নদ যদি এতই ছোঠ হয়, নদী থেকেও ছোট সেই সময় হয়ে থাকলে , হযরত মুসা(আ:) এর কেরামতির কোনই কি মূল্য রইলো ? পানি ২ভাগ হলেই কি তখনকার ফেরাউন ও তার সঙ্গী সাথীরা কি সাঁতার জানতো না ? লোহিত সাগর-ই হবে , যেখানের পানি ২ভাগে ভাগ হয়ে আবার মিললে এই ঢেউয়ের বাড়ী সামলে কারো পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না |
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন