দফায় দফায় হামলা ও পাল্টা হামলার পর অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরাইল। বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে এ সমঝোতা হয়। দুই ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই খবরটি জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ২০১৪ সালের পর এ বছর গাজায় ফিলিস্তিনি-ইসরাইলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা দেখা দেয়। সা¤প্রতিক মাসগুলোতে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে। গত ৩০ মার্চ থেকে গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের ছয় সপ্তাহের মাচ অব রিটার্ন আন্দোলন চলার সময় ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ১২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরাইলি বাহিনীর দাবি,নিহতদের বেশিরভাগই হামাস সদস্য এবং জঙ্গি। বিক্ষোভের আড়ালে তারা হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার পর গত ৩০ মে ইসরাইল ও গাজার ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি ডি ফ্যাক্টো অস্ত্রবিরতি চুক্তি হলেও পরে তা ভেস্তে যায়। দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলতে থাকে। এ অবস্থায় আবারও হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে অস্ত্রবিরতির খবর পাওয়া গেছে। মিসরের মধস্থতায় অস্ত্রবিরতির আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, আন্তর্জাতিক মান সময় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টা থেকে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হবে। বুধ ও বৃহস্পতিবার গাজায় ১৫০টির বেশি স্থাপনায় ইসরাইলি বিমান হামলার পর এ অস্ত্রবিরতির কথা জানা গেলো। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এদিন মধ্যাঞ্চলীয় গাজার জাফারায়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ইনাস খামাশ ও তার ১৮ মাস বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী ইনাস অন্তঃসত্তা ছিলেন। হামলায় তার স্বামীও আহত হয়েছেন। বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের এক সদস্য নিহত হয়। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এক টুইটার পোস্টে দাবি করেছে,তারা গাজায় একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা ও গুদামসহ ১৪০টি কৌশলগত জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন