কক্সবাজার সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগকে অত্যাধুনিকীরণ করে উদ্যোগ নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস। তিন বছর মেয়াদী এক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য রোববার সকালে ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস (আইসিআরসি) এবং সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতালের হলরুমে অনুষ্ঠিত উক্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আইসিআরসি’র বাংলাদেশ ডেপুটি হেড অব ডেলিগেছশন আবদুল লতিফ এমবেকে, স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ সাইফুল্লাহহিল আজম, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আবদুস সালাম, কক্সবাজার সদর হাসাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. সুলতান আহমদ সিরাজী, আবাসিক সার্জন ডা. টুটুল তালুকদার, আবাসিক ফিজিশিয়ান ডা. মো. শাহাজাহান, আইসিআরসি’র নেটওয়ার্কিং উপদেষ্টা শিরিন সুলতানা এবং কক্সবাজার অফিসের হাসপাতাল প্রকল্প ব্যবস্থাপক বারবারা টার্নুল।
আইসিআরসি’র তথ্য মতে, এই সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী আইসিআরসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের সাথে সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সেবা ও অবকাঠামোগত মানোন্নয়নের কাজ করবে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারের জরুরী স্বাস্থ্যসেবা চাহিদা সুনিশ্চিত হয়। এয়াড়াও জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের নানা ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ও স্বীকৃত মানদন্ডের ভিত্তিতে যেন সেবার মান বাড়ানো যায় ওদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আইসিআরসি’র সহায়তার মধ্যে থাকবে অবকাঠামো পুনর্বাসন, বিভিন্ন উপকরণ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সহায়তা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, জরুরী অবস্থায় সাড়া প্রদান সক্ষমতা বাড়ানো। এয়াড়াও আইসিআরসি’র বিদ্যমান জরুরী বিভাগের পুননির্মাণে কাজ করবে। এই কাজ চলাকালীন হাসপাতালের অস্থায়ী জরুরী বিভাগ চালু থাকবে। এতে রোগিরা নির্বিঘ্নে সেবা পাবে। একই সাথে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে। পাশপাশি জরুরী ভিবাগের চিকিৎসক ও নার্সদের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেবেন।
সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইসিআরসি’র বাংলাদেশ ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন আবদুল লতিফ এমবেকে বলেন, আইসিআরসি’র কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ’র সাথে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। কারণ এর মাধ্যমে কক্সবাজার জেলার স্থানীয় বাসিন্দা ও মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উন্নত ও আধুনিক চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল কক্সসবাজার দর হাসপাতাল। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতিমধ্যে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের পরিসেবা বর্ধন ও উন্নয়ন হয়েছে।
তবে বিপুল স্থানীয় ও রোহিঙ্গা রোগীদের চাপে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছিল হাসপাতালের জরুরী বিভাগটি। অথচ সবকিছুর আগেই জরুরী বিভাগটিই উন্নয়ন করা উচিত ছিলো বলে জানিয়ে আসছিল কর্তৃপক্ষ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন