বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তদন্তের অগ্রগতি নেই হতাশ পরিবার

রাজধানীতে শিশু নিনাদ হত্যার দুই মাস

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর বনশ্রীর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী আট বছরের সাফওয়ান আল নিনাদ হত্যার রহস্য দুই মাসেও উদঘাটিত হয়নি। মামলার তদন্ত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। জহিরুল ইসলাম নামে সন্দেহভাজন একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
নিহত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেস্টা করা হচ্ছে। গত ১৭ জুন ঈদের দিন সকালে ৫৪৪, মেরাদিয়ার ভূঁইয়া পাড়া প্লটের একটি বেকারির পাশের নর্দমায় রাখা ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যান থেকে নিনাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিনাদের গলায় ফাঁসের চিহ্ন, পায়ে ও হাতে মারধরের দাগ ছিল। নিনাদের বাবা স্বপন বেপারী ও মা সানজিদা আক্তার। সে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
স্বজনদের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। সন্দেহভাজনদের মধ্যে রয়েছে নিনাদের নানী ছালেহা বেগমের বড় ভাই সালাহউদ্দিন ও তার দুই ছেলে ফয়সাল ও আরাফাত, মেজো ভাই মৃত আলাউদ্দিনের দুই ছেলে টিপু ও আজহার, ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম, ছালেহা বেগমের দুই চাচাতো ভাই ফিরোজ ও ফুলু মিয়া। এ ঘটনায় নিনাদের বাবা খিলগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পর তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশে ন্যস্ত করা হয়।
নিনাদকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো গোয়েন্দা পুলিশের হাতে পৌঁছায়নি। তবে লাশের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘গলায় পলিথিনের ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গলার সামনের অংশে অর্ধ চন্দ্রাকৃতির কালশিটে দাগ রয়েছে। ডান কাঁধের পেছন দিকে হালকা কালো রঙের দাগ।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, সন্দেহভাজন হিসাবে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই শিশু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত এবং কারন কি তা উদ্ধার হয়নি। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত শিশুর মামা এস এম মুন্না সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত বলে আমাদের সন্দেহ পুলিশ সেদিকে হাঁটছে না। গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও তার দুই মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। নিনাদের স্বজনদের পাশাপাশি এলাকাবাসীও এই শিশুর খুনিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন। হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীরাও।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন