চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জাইকার উন্নয়ন প্রকল্প শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজের মান ও গুণ অটুট রেখে সম্পাদনে সিভিল সোসাইটিকে সহযোগিতা করতে হবে। গতকাল (বুধবার) নগর ভবনের কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে জাইকা সাহায্যপুষ্ট সিটি গভর্ন্যান্স প্রকল্পভুক্ত সিটি কর্পোরেশন অবকাঠামো উন্নয়ন ও ইনক্লুসিভ নগর পরিকল্পনা উন্নতকরণ কর্মসূচি (আইসিজিআইএপি) সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির তৃতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
মেয়র জাইকার প্রথম ধাপের কাজের অগ্রগতি কমিটিকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশন করে নাগরিক সেবাকে উৎসাহিত করতে পারে। সভায় কমিটির সদস্য সচিব কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরসহ সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিসহ ১০৩ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র বলেন, নাগরিক সেবার জন্য নগরবাসী হোল্ডিং ট্যাক্সের মাধ্যমে সেবা পেয়ে থাকে। হোল্ডিং ট্যাক্স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে হোল্ডিং, কনজারভেন্সি ও আলোবাতির জন্য সর্বমোট ১৭ ভাগ ট্যাক্স ধার্য ও আদায়ের ক্ষমতা দিয়েছে। ১৯৮৫ সালে ধার্যকৃত এ হার বর্তমানেও অব্যাহত আছে। ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ নতুন একটি গেজেট জারি হয়েছে। এতে আলোকায়নের জন্য ৩ ভাগ থেকে ৫ ভাগ কর ধার্য করেছে।
সিটি কর্পোরেশন নগরীকে শতভাগ আলোকিত না করে বর্ধিত এ হার নগরবাসীর ওপর ধার্য করা থেকে বিরত রয়েছে।
তিনি বলেন, কালুরঘাট থেকে শাহ আমানত ব্রিজ পর্যন্ত মেরিনার্স সড়ক সম্প্রসারণ করা, ফিশারি ঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ওভারপাস নির্মাণ, মহেষ খাল, চাক্তাই ও রাজা খালের মুখে পাম্প হাউসসহ স্লুইচ গেট নির্মাণ পরিকল্পনা রয়েছে। তা ছাড়াও চায়নার একটি কোম্পানির মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানিবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চালু আছে। দৃষ্টিনন্দন নগর গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন