মো. সাদত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে : আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন ও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার দুপুর দেড়টায় জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য সফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. ইসলাম বেবী, যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য ক্য সা প্রু। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বারসহ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতারা ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা অভিযোগ করেন, জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)’র তাদের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দিয়ে এলাকায় এলাকায় পাঠিয়ে তাদের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। তাদের (জেএসএস) প্রার্থীরা পরাজিত হলে পুরো গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, লোকজন হত্যা, ঘুম ও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে। প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর জন্য প্রাণনাশের মতো হুমকিও প্রদান করছেন। এতে প্রার্থী ও সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণাসহ নির্বাচনী কোনো প্রকার কাজ করতে পারছে না। সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্যে অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকা-ের কারণে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও সন্ত্রাসীদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া ও অব্যাহত প্রাণনাশসহ নানা হুমকিতে ভোটারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রোয়াংছড়ির নোয়াপতং ইউপি পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চনু মং মার্মা সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এবং রিটার্নিং অফিসারকে দেওয়া অভিযোগপত্রে জানা গেছে, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা জেএসএসের চেয়ারম্যান প্রার্থী অংথোয়াইচিং-এর চশমা প্রতীকে ভোট প্রদান করতে পাড়া কারবারী (পাড়া প্রধান)সহ লোকজনকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। উক্ত ইউনিয়নের আন্তাহা পাড়া, কানাইজো পাড়া, কাট্টলী পাড়া এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবস্থান নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা পাড়া কারবারীসহ লোকজনকে বলা হচ্ছে পাড়ায় যদি ৩৭৯টি ভোট থাকে তাহলে ৩০০টি ভোট জেএসএস সমর্থিত প্রার্থীদের দিতে হবে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উক্ত ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অংথোয়াইচিং জেএসএস অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সহায়তায় পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তাকে ভোট দিতে ভোটারদেরকে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি, পাড়া উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করছেন। সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন, তারাছা, রাজবিলা, টংগাবর্তীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন