এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন থেকে : ৩য় ধাপে জাতীয়করণকৃত ভোলার চরফ্যাশনের উত্তরচর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম চর লিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগের।
গতকাল বুধবার সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা যায়, উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রাশেদা বেগম, সালেহা ও পশ্চিম চর লিউলিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমেনা বেগম অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়টি দু‘টি প্রতিষ্ঠালগ্নে বিধি মোতবেক নিয়োগ পেয়ে তারা ২৫/০৮/১০ তারিখে যোগদান করে বিদ্যালয়ের আজ পর্যন্ত পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন।
চরফ্যাশন শিক্ষা অফিসের দালাল আব্বাস উদ্দিন ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে গত ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে চরফ্যাশন উপজেলার সরকারি করণের জন্য শিক্ষকদের যাচাই বাছাই কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় পশ্চিম চর লিউলিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেদের নামের তালিকায় আমেনা বেগমের পরিবর্তে রফিকুল ইসলাম নাম দেয়া হয়। একইভাবে উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদা বেগমকে বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে রোখসানা বেগম এবং সহকারী শিক্ষক পদে রহিমা আহমেদ রুমা ও কানিস ফাতেমার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ এরা কোন দিন ওই স্কুলেও যায়নি।
স্কুল কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে ওইসব নিয়োগ দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা প্রতিকার ছেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অফিযোগ প্রসঙ্গে আব্বাস উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) খোন্দকার জসিম আহম্মেদ বলেন, মজিব নগর দু‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে গোন্ডগোল রয়েছে তা আমি শুনেছি। আমি সদ্য যোগদান করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন