সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিক্ষকের এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাতে ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার দুপুরে মহজুমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। আহত শিক্ষার্থীদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার মহজুমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাবিবুল্লাহ গতকাল বুধবার ১১টার দিকে সপ্তম শ্রেণীর (খ) বিভাগের বাংলা বিষয়ে পড়া নিচ্ছিলেন। এ সময় এক ছাত্রীকে পড়া জিজ্ঞেস করলে সে বলতে পারেনি। এভাবে আরো কয়েকজনকেও জিজ্ঞেস করলে তারাও পড়া বলতে না পারলে শিক্ষক হাবিবুল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাসে থাকা স্কচটেপ মোড়ানো ও বাইরে থেকে আরো বাঁশের বেত এনে ছাত্রীদেরকে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করতে থাকে। এ সময় ছাত্রীদের আর্তচিৎকারে অন্য শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে শিক্ষককে থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয়দেরকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়রা শিক্ষক হাবিবুল্লাহকে একটি কক্ষে আটকে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশের কাছে ফোনে অভিযোগ দিয়ে আহতাবস্থায় ছাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়। আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে যে, শিক্ষক হাবিবুল্লাহ পড়া না পারার কারণে বেত্রাঘাত শুরু করে। স্কুলে বেত্রাঘাত নিষিদ্ধ বলে শিক্ষার্থীরা জানালে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে ১২ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠায়। আহতরা হচ্ছে সানজিদা, তানিয়া, রাত্রি, ইরিন, সুবর্না, ছানিয়া, তানজিলা, ছাদিয়া, নাজনীন ও তানিয়াসহ ১২ শিক্ষার্থী।
এদিকে এলাকাবাসী ওই শিক্ষককে সারাদিন অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভুঁঞা, সহকারী কমিশনার (ভুমি) এসএম জাকারিয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব ও সোনারগাঁ থানার আফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থল থেকে অবরুদ্ধ শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন