জীবিকার তাগিদে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকার বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন পরিচ্ছন্ন কর্মী। ময়লা-আবর্জনা আর দুর্গন্ধ যা দেখলে যেখানে সবাই দূরে চলে যায়। সেখানে তাদের জীবন কাটে এই ময়লা-আবর্জনার মাঝেই। এতে করে সিংহভাগই আক্রান্ত হচ্ছেন ক্যান্সার, অ্যাজমা ও বক্ষব্যাধিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে। কম বেতন অথবা হাজিরাভিত্তিক কম টাকা দিয়েই টানাটানির মধ্যে চলে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
জানা গেছে, রাজধানীর দুই সিটির অধীনে কাজ করছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজার নিবন্ধিত পরিচ্ছন্ন কর্মী। আর এলাকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করছেন আরও প্রায় ৪ হাজার কর্মী। বাসাবাড়ি থেকে ডাস্টবিন ও ডাস্টবিন থেকে মূল ভাগাড়ে আবর্জনা চলে যাচ্ছে এই মানুষগুলোর হাত হয়েই। তাদের কারণে রাজধানীবাসী পাচ্ছেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আবর্জনা-দুগন্ধহীন এলাকায় বসবাসের সুযোগ।
তবে এসব পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যাতে ভালো পরিবেশে বসবাস করতে পারেন, সেজন্য দুই সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে আবাসিক ভবন। এসব আবাসিক ভবন তাদের নামে বরাদ্দ হলে অন্তত তারা আবাসন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য আলাদা ভবন নির্মাণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য ধলপুর, লালবাগ ও গণকটুলীতে ছয়তলা বিশিষ্ট ৬টি ক্লিনার কলোনি নির্মাণ করে উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়া গণকটুলিতে আরও ৬টি, মিরানজল্লা ক্লিনার কলোনিতে ৩টি এবং ধলপুরে ২টি ছয়তলা ভবন নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে।
তিনি বলেন, তাদের জন্য ইতোমধ্যে কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়ে হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর কর্তৃক ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৩টি দশতলা বিশিষ্ট ভবনে সর্বমোট ১২১৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চলতি অর্থবছরের বাজেটে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে উত্তরের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র ওসমান গণি বলেন, ‘গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৭৮৪ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর জন্য ৪টি ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ ও একটি স্কুল নির্মাণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন