শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বরিশাল নৌবন্দর, ঢাকামুখী লঞ্চগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৮, ৮:৩৭ পিএম

ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক মিলে প্রায় সাত দিন ছুটি শেষে ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষগুলো। আজ লঞ্চ ও বাস টার্মিনালগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিশেষ করে বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে লঞ্চ মালিক ও বিআইডাব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই অনেক লঞ্চকে ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে।
দুপুরে লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে নোঙর করা ২০টি লঞ্চে বাথরুমের সামনের স্থানসহ যাত্রী ঠাসাঠাসি। কিন্তু এরপরেও লঞ্চ কর্মচারীরা ‘জায়গা খালি আছে’ বলে হাঁকডাক দিয়ে যাত্রী তুলছে। এতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বা বিআইডাব্লিউটিএর কেউ বাধা দিচ্ছে না। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে কানায় কানায় পূর্ণ এক লঞ্চ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বরাবরই অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে নিষেধ করি। কিন্তু যাত্রীরা আমাদের কথা কানেই নেয় না।’ লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে কর্মীরা জায়গা খালি আছে বলে ডাকছেন জানতে চাইলে তিনি এর কোনো সদুত্তর না দিয়ে সরে যান। অন্য এক পরিচালক বলেন, ‘দুই ঈদে যাত্রীদের চাপ থাকে অনেক বেশি। যাত্রীদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ছুটির শেষ দিনেই কর্মস্থলে ফেরা। তাই ছুটির শেষ দিনে যাত্রীদের চাপ সামলানো লঞ্চ কর্তৃপক্ষের জন্য সম্ভব হয় না। তা ছাড়া একজন যাত্রী লঞ্চে উঠে পড়লে তাকে তো আর নামিয়ে দেয়া যায় না।’
বিআইডাবিøউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজমল হুদা মিঠু বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে না ওঠার জন্য বিআইডাবিøউটিএ কর্তৃপক্ষ মাইকিং করছে। যাত্রীদের সচেতন করার জন্য ১৫টি নির্দেশনাসংবলিত পোস্টার বিল বোর্ডসহ ঘাটের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো হয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যাত্রীরা যেমন সেই নিয়ম মানছে না। ঠিক একই অবস্থা লঞ্চ কর্তৃপক্ষেরও। তাই বাধ্য হয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই লঞ্চগুলোকে ঘাট ত্যাগ করাচ্ছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন