নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা (ডিভিশন) দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) সাইফুজ্জামান হিরু কারাবিধি অনুযায়ী শহিদুল আলমকে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া খ্যাতিমান এই আলোকচিত্রীকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার জন্য আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরু আবদেন মঞ্জুর করে তাকে কারাবিধি অনুসারে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন। শুনানিকালে শহিদুল আলমের অন্য আইনজীবী জায়েদুর রহমানসহ অন্যান্যরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। পরবর্তীতে রিমান্ড শেষে ১২ আগস্ট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা দায়রা জজ আদালতে শহীদুল আলমের জামিন শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট রাতে শহিদুল আলমকে তাঁর ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে এক দল লোক তুলে নিয়ে যায়। পরে ডিবির পক্ষ থেকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করে ডিবি হেফাজতে আছে বলে জানানো হয়। পরদিন বিকেলে ডিবি পুলিশের (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শহিদুলকে গ্রেফতার দেখানো হয়। একইদিনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আরমান আলী খ্যাতিমান এই আলোকচিত্রীকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আছাদুজ্জামান নূর শুনানী শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন