স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপন করে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ঈদের সময়ের ন্যায় এখনো লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের ভিড়। সবচেয়ে বেশি ভিড় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে। স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস দিয়েও যাত্রীদের চাপ সামাল দেয়া যাচ্ছে না। যাত্রী ভরপুর হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগেই ধারণ ক্ষমতার তিনগুন যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে হচ্ছে।
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে উপচেপড়া ভীড়ে একদিকে রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অন্যদিকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও নারী যাত্রীদের। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের যানজট এড়াতে পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর ও রামগঞ্জ এবং শরীয়তপুরের অনেক যাত্রী নৌ-পথে চাঁদপুর হয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-পথে ভ্রমন আরামদায়ক হওয়ায় যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ।
সরেজমিন দেখা গেছে, যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাট ছাড়ার সিডিউল টাইমের আধা/এক ঘণ্টা আগেই ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে অনেক যাত্রীকে বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে। সপ্তাহের সামনের দিনগুলোতেও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছেন ময়ূর, ঈগল ও বোগদাদীয়া লঞ্চের চাঁদপুর ঘাট সুপারভাইজার আলী আজগর সরকার।
গত কয়েকদিন ধরে কর্মস্থলমুখি মানুষের চাপে লঞ্চগুলোতে পা রাখার জায়গা নেই। যাত্রীদের ভিড় পল্টুন ও জেটিতে। ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে গাদাগাদি করে পদ্মা-মেঘনা পাড়ি দিচ্ছে। বর্তমানে এরুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ চলাচল করে। প্রতিটি লঞ্চ আগের তুলনায় তিনগুন যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ত্যাগ করছে।
বিআইডাব্লিউটিএ, বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে আমরা সর্তক। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন