ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নেত্রকোনার সিআইডি পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত ভুয়া এমডি প্রতারক শহিদুল ইসলামকে (৩৮) তিন দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নেত্রকোনা সিআইডি’র উপ-পরিদর্শক (এস আই) প্রীতেশ তালুকদার জানান, দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলাম ঢাকার গুলশান-১ এ বিলাশবহুল অফিস ভাড়া নিয়ে পপুলার ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, পপুলার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, কনফিডেন্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড ও সানড্রিম কমার্স লিমিটেডের এমডি পরিচয়ে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া ও পূর্বধলা উপজেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের মোটা অঙ্কের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঋনের বিপরীতে সঞ্চয় বাবদ তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতারিত গ্রাহক নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কাশিপুর গ্রামের বিল্লাল মিয়া কেন্দুয়া থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় নেত্রকোনার সিআইডিকে।
এস আই প্রীতেশ তালুকদার আরো জানান, সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মতিউর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকালে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ও ব্যাংক লেনদেন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর তা পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় সিআইডি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভূঁয়া এমডি প্রতারক শহিদুলের অবস্থান শনাক্ত করার পর গত বুধবার রাতে ঢাকার রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাকে নেত্রকোনার আদালতে সোপর্দ করে আরো তথ্য সংগ্রহের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে এনে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কিভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতারণা করেছে এবং তার সাথে আর কারা জড়িত তাদের নাম বলেছে। রিমান্ড শেষে গতকাল মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন