উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সাধক হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহর (রহ.) ২৬তম সালানা ওরশ মাহফিলে বক্তাগণ বলেছেন তিনি ছিলেন শরীয়ত ও ত্বরিকতের সমন্বয়কারী। তিনি ১৯৭৪ সালে জশনে জুলুসে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (সা.) প্রবর্তন করেন। তিনি শরীয়ত ও ত্বরীকত শিক্ষার সমন্বয়ে ঈমান-আক্বিদাকে সুদৃঢ় রেখে রাসূলের (সা.) সুন্নাত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলনের যে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, তার যথার্থ অনুসরণের মাধ্যমে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি সম্ভব। আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় নগরীর ষোলশহরস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে সোমবার অনুষ্ঠিত এই মাহফিল ছিলো বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আয়োজন। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ওরশ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জামেয়ার চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী সালানা ওরস মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আনজুমান ট্রাষ্টের সেক্রেটারী জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ও ওরস সাব কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল হক, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান, ভাইস প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা মুহাম্মদ লিয়াকত আলী, মুফতি কাজী মুহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ, হাফেয মুহাম্মদ সোলাইমান আনসারী, মাওলানা হাফেয মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, মাওলানা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, মাওলানা কাজী মঈন উদ্দিন আশরাফী প্রমুখ। পরে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন