পাবনায় আনন্দ টিভির সাংবাদিক সুবর্ণা নদী হত্যা মামলায় শিমলা ডায়গনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৩জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকাল ৪টার দিকে নিহত নদীর মা মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।(মামলা নং ৯৩/১৮ তারিখ : ২৯/৮/১৮)। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক মামলা দায়েরের সততা নিশ্চিত করে শুধু একজন আসামীর নাম জানিয়েছেন। অপর দুইজনের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিগত ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সুবর্ণা নদী বলেন, ‘মামলা করার পর আমার শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী প্রচণ্ডভাবে আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সব মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদর্শন করছেন। মামলা তুলে না নিলে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। পাবনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন তন দমন আদালতে নদী মামলা দায়ের করেছিলেন। সূত্র মতে, মামলার পর যৌতুকের টাকা নাকি নদীকে প্রদান করা হয় এবং মামলা তুলে নিতে বলা হয়। গত মঙ্গলবার(২৮/৮/১৮ ) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নিজ টিভি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর দুর্বৃত্তরা আনন্দ টেলিভিশনের পাবনা প্রতিনিধি সুবর্ণা নদী শহরের রাধানগর মহল্লার আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাইপাস লেনে ভাড়া বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কয়েকজন বাসার কলিং বেল টিপলে তিনি দরজা খোলার সাথে সাথে তার উপর আক্রমণ করে দুর্বৃত্তরা। উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রাঘাতে গুরুতরভাবে জখম করে মুখোশপরা দুর্বৃত্তরা মটর সাইকেল নিয়ে দ্রুত চলে যায়। স্থানীয় লোকজন নদীকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন