শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজার শহরের বর্জ্যে ১০ টন জৈবসার

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

পর্যটন শহর কক্সবাজার পৌর এলাকার বর্জ্য দিয়ে এখন থেকে প্রতিদিন উৎপাদন হবে ১০ টন করে জৈব সার। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামুর মিঠাছড়িতে বাস্তবায়নাধীন বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনে স্থাপিত প্রকল্পের দলিল হস্তান্তর ও চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে । পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে পৌরসভা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মধ্যকার এ চুক্তি সম্পাদন হয়। এতে প্রথম পক্ষে মেয়র মুজিবুর রহমান দ্বিতীয় পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

এ সময় মেয়র বলেন, ‘কক্সবাজার পৌরসভা থেকে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত প্রায় ৫শ’ টন বর্জ্য সরানো হয়। আর এসব বর্জ্য থেকে এখন সার উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এতে করে বর্জ্য যেমন দ্রুত অপসারণ হবে তেমনি অপসারিত বর্জ্যকে জৈব সারে রূপান্তর করা হবে। এতে প্রতিদিন প্রায় ১০ টন করে জৈব সার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এটি কক্সবাজারবাসীর জন্য সুখবর।
মেয়র বলেন, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এমন উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুন্দর মানসিকতাকে ধন্যবাদ জানাতে হয়। কক্সবাজারকে পরিচ্ছন্ন ও বিশ্ববমানের পর্যটন নগরী গড়তে প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন সরকার প্রধান। তার স্বপ্ন দ্রুত বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ।’
অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, পৌর এলাকার বর্জ্য থেকে প্রতিদিন ১০টন করে জৈব সার উৎপাদন হবে। মিঠাছড়িতে বাস্তবায়নাধীন ব্যতিক্রমী এ প্রকল্পের জন্য বিশেষ করে মেয়র মুজিবুর রহমানকেই ধন্যবাদ জানাতে হয়। আশা করছি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নপূর্বক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুফল ভোগ করতে পারবো। চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাফ, কাউন্সিলর নাছিমা আকতার বকুল, কাউন্সিলর দিদারুল আলম, কক্সবাজার পৌরসভার সচিব রাসেল চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল কালাম বাবুল, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম ও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রতিষ্ঠান সেবক এগ্রোবেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদ আমিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পটি দেশের চারটি পৌরসভায় বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরমধ্যে কক্সবাজারের মিঠাছড়ির প্রকল্পও একটি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন