রাজশাহীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীসহ ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা পুলিশ ৫৭ জন ও মহানগর পুলিশ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। যাদের মধ্যে সাতজন বিএনপি ও পাঁচজন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী। এ সময় নয়টি বোমা ও বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের সূত্র জানায়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী সুপার আবদুর রাজ্জাক খান জানান, পুঠিয়ায় নাশকতার পরিকল্পনার সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের তিন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ পুঠিয়া ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও জামায়াত নেতা এএইচএম মুনসুরুল হক মন্টুর বাড়ি থেকে দুই শিবির নেতা ও অপরজনকে কান্দা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে। পরে মন্টুর বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ৫০টি জিহাদী বই, চারটি পেট্রোল বোমা ও দুইটি হাত বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
এরা হলেন, পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের কান্দ্রা গ্রামের মাহাবুর রহমানের ছেলে শিবির নেতা নাহিদুল ইসলাম (২২), ধোপাপাড়া গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে ওয়াদুদ আলম (২৫) ও কান্দ্রা দাখিল মাদরাসার সুপার ও জামায়াত নেতা আনোয়ার হোসেন (৪৫)।
আবদুর রাজ্জাক খান বলেন, ১০ থেকে ১৫ জন শিবির নেতাকর্মী ধোয়াপাড়া গ্রামের জামায়াত নেতা এএইচএম মুনসুরুল হক মন্টুর বাড়িতে গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় দুইজনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, চারঘাট থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ছয় ও জামায়াত-শিবিরের দুই নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো, চারঘাটের সারদা ইউপির শিবির সভাপতি হাসিবুর রহমান সোহাগ (২৮), সলুয়া ইউপি জামায়াতের আমির গিয়াস উদ্দিন (৫০), সারদা ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাবলু হোসেন (৩০), ইউসুবপুর ইউপির ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম (৪৫), চারঘাট ইউপির ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন (৫২), বিএনপি কর্মী গিয়াস উদ্দিন (৫০), নিমপাড়া ইউপির ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল মতিন (৫০) ও ছাত্রদল নেতা শহিনুর (২৫)। নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে বাঘা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সালেহ আহম্মেদ সালামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে বাঘা মাজার এলাকার আজগরের বন্ধ চায়ের দোকানের পাশ তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করা হয় বলে জানায়।
এছাড়াও বাগমারা, গোদাগাড়ী, মোহনপুর, তানোর, চারঘাট, বাঘা, পুঠিয়া, দুর্গাপুর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে আরও ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় বেশ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার ভোর পর্যান্ত নগরের ১২ থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে ১৪ জন গ্রেফতার পরোয়ানার আসামী, ১৪ জন মাদক দ্রব্যসহ এবং ২১ জনকে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় বেশকিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন