কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি-জামায়াতের ৫৮ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬২টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত জেলাজুড়ে এ অভিযান চলে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান দুপুরে বলেন, নাশকতার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেয়ার গোপন খবর ছিল। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, অভিযানে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ ১২ জন, কুমারখালীতে ১১ জন, দৌলতপুরে ১৪ জন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় ১১ জন, মিরপুরে চারজন, ভেড়ামারায় চারজন ও খোকসা থানা পুলিশ দুইজনকে আটক করে। এর মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কুমারখালীতে এক ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতিসহ ছয় শুরা সদস্য রয়েছেন। কুষ্টিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহিউদ্দীন চৌধুরী মিলন রয়েছেন।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় সাতটি মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ১৪৩ জনকে। অজ্ঞাত আসামিও রয়েছে। আটক ব্যক্তিদের এসব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের পাঠানো হচ্ছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী রুমী অভিযোগ করে বলেন, ‘আগামী দিনের নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। বিএনপি জোটের নেতাকর্মীরা মাঠে যাতে কাজ না করতে পারে এজন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন