অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ায় গত কয়েক বছরের মন্দাভাব কাটিয়ে দেশের জাহাজ শিল্প ফের চাঙ্গা হয়ে উঠছে। মহাসড়কে তীব্র যানজট, ট্রাকের ওভারলোডিং সমস্যাসহ অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় কমানোর উদ্দেশ্যে দেশের বড় শিল্প গ্রুপের অনেকেই ছোট জাহাজ বা কার্গো তৈরি করছে। এ ছাড়া সরকারি চাহিদাও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও নতুন করে চাহিদা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে জাহাজ নিমার্ণ শিল্পে নতুন করে উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
গত তিন-চার বছরের ব্যবধানে খাদ্য ও নিমার্ণসামগ্রী আমদানি বেড়েছে কয়েকগুণ। চার বছর আগেও যেখানে আমদানি হতো চার কোটি টন পণ্য, সেখানে বতর্মানে আমদানি হচ্ছে ১৩ কোটি টনের বেশি। আর এসব পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে ছোট জাহাজ। বিশেষ করে সরকারি চাহিদা বাড়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বতর্মানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় অবকাঠামো নিমার্ণ কাজ চলমান রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু, পদ্মা রেল সংযোগ এবং মেট্রো রেলের মতো বড় অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। এই সব প্রকল্পে বোল্ডার, বালু, কিলিংকার, কয়লাসহ বিভিন্ন নিমার্ণ সামগ্রী আমদানি করতে হচ্ছে। আমদানির পর এগুলো বন্দর থেকে নিমার্ণাধীন স্থানে পৌঁছানোর জন্য কার্গোর প্রয়োজন হচ্ছে। আর সে কারণেই আগামী দুই বছরের মধ্যে শুধু সরকারিভাবেই আরও ৩০০ জাহাজের চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এ শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র জানায়, বতর্মানে দেশে জাহাজ নিমার্ণ কারখানা বা শিপইয়ার্ড রয়েছে ১৩০টি। ২০০৮ সালের দিকে এদের মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি ছোট আকারের জাহাজ নিমাের্ণর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্ত ওই সময়ে বিশ্ব অথৈর্নতিক মন্দায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সময় লেগেছে। তবে বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে চাহিদা তৈরি হওয়ার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ শিল্প গতি পেয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন