টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আসামী এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। সকাল সোয়া এগারোটায় টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এই চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
পাশাপাশি এমপি রানার জামিনের বিষয়ে গতকাল আদেশ দেয়ার কথা থাকলেও, সেটি আজ বিকেল চারটায় জানানোর সময় নির্ধারণ করেছে আদালত। এর আগে গত ৮ আগষ্ট আসামীপক্ষের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানী হয়। সে শুনানীতে গতকাল জামিন বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য করেছিলো আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন, তারা বলেন এ পর্যায়ে আসামীকে জামিন দেয়া হলে মামলার সাক্ষ্য গ্রহন ব্যহত হবে। পরে এমপি রানা অনুমতি নিয়ে আদালতে বলেন, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ দুই বছর ধরে স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জেল হাজতে আটক রয়েছি। যে কোন শর্তে আদালতের কাছে তিনি জামিনের প্রার্থনা করেন।
এদিকে জামিনের আদেশ কেন্দ্র করে আদালত চত্বরে গতকাল সকাল থেকেই পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করে। আদালত চত্বর ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা ১১ টার দিকে আসামীপক্ষের সমর্থকরা শহরের শামসুল হক তোরণ এলাকায় অবস্থান নিলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় এক রাউন্ড টিয়ালশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচার দাবিতে আদালত চত্বর ও শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন