কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বৈঠক করে নাশকতা, রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধন করার পরিকল্পনা করার অপরাধে আসামি হয়েছেন ওমান প্রবাসী আহাদ খলিফা। যিনি গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ওমানে চাকরি করছেন। আবার বয়সের ভারে ন্যুজ্জ হয়ে পড়েছেন, চোখে ঝাপসা দেখেন এমন বয়োবৃদ্ধ লোকও গোপন বৈঠকের আসামি।
মুরাদনগর থানা পুলিশ গত শুক্রবার রাতের গ্রেফতার অভিযানকে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নাশকতা, যানবাহন ভাঙচুরসহ অপরাধ সংঘটিত করার জন্য গোপন বৈঠক করে পরিকল্পনা করছিল অভিযোগ এনে ৩৩ জনকে এজহারনামীয় এবং ১৫-২০জনকে অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা করেছেন। কিন্তু মুরাদনগর থানার এসআই আবদুল গোফরানের দায়ের করা ওই মামলার ২২ নম্বর আসামি আহাদ খলিফা এ বছরের ১০ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশ থেকে চাকরি করতে ওমান যান। শুক্রবার দিবাগত রাতে সে ওমান থেকে কিভাবে দেশে এসে ওই গোপন বৈঠকে যোগ দিয়ে আসামী হয়েছেন এমন খবরে চাউর হয়ে ওঠেছে মুরাদনগরসহ গোটা কুমিল্লা।
প্রবাসী আহাদ খলিফাই নয়, ওই মামলায় উপজেলার বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের ৮০ বছর বয়সী সাবেক চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মীরকেও আসামি করা হয়েছে। অথচ বয়োবৃদ্ধ এই লোকটি ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না ও চোখে ঝাপসা দেখেন। আবার অনেকে চাকরি ও ব্যবসার কারণে কুমিল্লার বাইরে ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় অবস্থান করলেও গত শুক্রবার দিবাগত রাতের গোপন বৈঠকে তাদের উপস্থিতি দেখিয়ে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন